দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদ। একে ঘিরে শেষের দিকে এসে সারা দেশের মত বাজার জমে উঠেছে চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতেও। কালুরঘাট ফেরির ভোগান্তি ও চৈত্রের দাবদাহে অতিষ্ঠ হয়ে মানুষ শহরমুখি না হয়ে উপজেলার মার্কেটগুলো থেকে সেরে নিচ্ছেন কেনাকাটা। যেকারণে উপজেলার অন্যতম খাজা সুপার মার্কেট, জব্বার মার্কেট, আল মদিনা সুপার মার্কেট, বোয়ালখালী বাজার, বিয়েবাজার, শাকপুরা, কানুনগোপাড়া চৌধুরী হাটস্থ মার্কেট ও শো-রুমে পছন্দের জিনিসপত্র কিনতে ভিড় করছেন ক্রেতারা। এতে গভীর রাত পর্যন্ত কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন বিক্রেতারাও।
ব্যবসায়ীরা জানান, মার্কেটের অনেকেই ঢাকা বঙ্গবাজার ও নিউমার্কেট থেকেই কাপড় সংগ্রহ করেছেন। মিরপুর, কেরানীগঞ্জসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে ব্যবসায়ীরা কাপড় আমদানি করেছেন। এবারে ঈদের আগে আশানুরূপ বেচাকেনা করতে পারবেন বলে প্রত্যাশা করছেন তারা।
উপজেলার সৈয়দপুর থেকে মার্কেট করতে আসার শাহীন আকতার ‘মুক্তি ৭১কে’ জানান, কেনাকাটা করতে এসে প্রায় সব ধরণের কাপড়ে বাড়তি দাম গুনতে হচ্ছে। সব ধরনের কাপড়ের দাম বেড়েছে ৫০০ থেকে কয়েক হাজার টাকা পর্যন্ত। তবে এসব অভিযোগ সত্য নয় জানিয়েছেন বিক্রেতারা। তারা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ার ফলে কাপড়ের দামও বেড়েছে তবে তা অতিরিক্ত নয়।
বিয়েবাজারের বিক্রেতা আকবর হোসেন ‘মুক্তি ৭১কে’ জানান, আমরা ঢাকা থেকে নুতন ডিজাইন কালেকশন এনেছি। এছাড়া পাঞ্জাবি, শার্ট, গেঞ্জি, ফতোয়া, থ্রি-পিস, টুপিস ও শিশুদের জন্য সব ধরনের কাপড় পাওয়া যাচ্ছে এখানে। শেষ মুহূর্তের কেনাকাটায় মার্কেটে চাকরিজীবীদের উপস্থিতিই বেশি লক্ষ করা যাচ্ছে। তবে ক্রেতাদের বেশিরভাগই নারী।
এদিকে ঈদের বেচাকেনাকে ঘিরে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে যানজটও। বিশেষ করে রেললাইন থেকে উপজেলা পর্যন্ত এবং কানুনগোপাড়া মোড়ে যানজট যেন নিত্যদিনের সঙ্গী।
অন্যদিকে ঈদকে সামনে রেখে জোরদার করা হয়েছে উপজেলার বিভিন্ন মার্কেটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বোয়ালখালী থানার এস আই আবদুল জব্বার জানান, আমাদের বিভিন্ন বিট থেকে নিরাপত্তা জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে । একই সঙ্গে উপজেলা এলাকায় যানজট নিরসনেও কাজ করছে থানা পুলিশ।