আন্দোলনে পরাজিত হয়ে বিএনপি-জামায়াত জনগণের উপর প্রতিশোধ নিচ্ছে, জ্বালাও-পোড়াও করছে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর ১৪ দলের সমন্বয়ক এবং চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।
রোববার (১২ নভেম্বর) সকালে বিএনপি-জামায়াত চক্রের অপতৎপরতার বিরুদ্ধে জনগণের জানমাল রক্ষায় নগরের নিমতলা চত্বরে বন্দর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত মন্তব্য করেন।
এসময় সুজন বলেন, বিএনপি-জামায়াত চক্র চলমান আন্দোলনে পরাজিত হয়ে এখন জনগনের উপর প্রতিশোধ নিচ্ছে। তারা বুঝে গিয়েছে যে, তাদের অবরোধে জনগণ আর সাড়া দিবে না। তাই তারা এখন সাধারণ জনগণের উপর প্রতিশোধ নিতে শুরু করেছে।
তিনি বলেন, একজন সাধারণ নাগরিকের উপার্জনের একমাত্র অবলম্বনটিকে পুড়িয়ে দিতেও দ্বিধা করছে না বিএনপি-জামায়াত চক্র। একটি রাজনৈতিক দল কতটুকু নৃশংস হলে এ ধরণের অমানবিক কাজ করতে পারে সে প্রশ্নও রাখেন তিনি। অবশ্য বিএনপি-জামায়াতের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে জ্বালাও-পোড়াও করা। অতীতেও তারা আন্দোলনের নামে জ্বালাও-পোড়াও করেছে, বাস পুড়িয়েছে-মানুষ পুড়িয়েছে, এমনকি জীবজন্তু পর্যন্ত তাদের হিংস্রতার হাত থেকে রেহাই পায়নি। তাই বিএনপি-জামায়াত চক্রকে রুখে দেওয়ার সময় এসে গেছে।
সুজন বলেন, যারা আন্দোলনের নামে জনগণের ক্ষতি সাধন করবে তাদেরকে আর কোনভাবেই ছাড় দেওয়া যাবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি। তিনি আরো বলেন, রাস্তায় স্বতস্ফুর্তভাবে গাড়ি নেমে এসেছে। সবাই এখন বুঝে গেছে যে দেশ এখন সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তাই কোনভাবেই দেশকে আর পিছনের দিকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে দেওয়া হবে না। সারা বাংলাদেশে আজ উন্নয়নের মহোৎসব চলছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রতিদিনই একের পর এক মেগা প্রকল্পসমূহের উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে দেশকে একটি অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছেন। তাই সময় এখন শুধুই সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া।
৩৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আহবায়ক মো. ইসকান্দর মিয়ার সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বন্দর থানা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুলতান আহমেদ, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. ইলিয়াছ, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র আফরোজা কালাম, ৩৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জানে আলম, সাধারণ সম্পাদক ও কাউন্সিলর আব্দুল মান্নান, ৩৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহবায়ক ও কাউন্সিলর মোর্শেদ আলী, সাবেক কাউন্সিলর সাইফুল আলম চৌধুরী, কামাল ইসহাকী, ফরিদ আহমদ, ছৈয়দ আহমদ বাদল, শওকত হোসেন জগলু, মোরশেদ আলম, হাফেজ মো. ওকার উদ্দিন, শেখ নওশাদ সরওয়ার পিল্টু, মো. হোসেন, মো. শাহাবুদ্দিন, ছালেহ আহমদ জঙ্গী, মোজাম্মেল হোসেন নান্টু, হাবিব শরীফ, মেজবাহ উদ্দিন মোর্শেদ, বিবি মরিয়ম, ওয়াহিদ মুরাদ রাসেল, জাকির মিয়া, হাসান মুরাদ, মো. লোকমান, মো. রাশেদ, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম ইমরান আহাম্মেদ ইমু, মো. নাছির, জাহিদ হাসান প্রমুখ।