চট্টগ্রামের চন্দনাইশে পেয়ারার লোভ দেখিয়ে ১০ বছরের এক ছেলে শিশুকে যৌন নির্যাতনের দায়ে দায়ের করা মামলায় একমাত্র আসামি উৎপল কান্তি বৈদ্য (২৮) কে গ্রেফতার করেছে চন্দনাইশ থানা পুলিশ। বুধবার (৮ নভেম্বর) রাতে চন্দনাইশ উপজেলার বরকল-বরমা ইউনিয়নের কালিরহাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার উৎপল কান্তি বৈদ্য চন্দনাইশ উপজেলার সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড ছলিয়ারপাড়া এলাকার
শচীন্দ্র মোহন সুশীলের ছেলে।
ভিকটিম শিশুর রিকশাচালক পিতার এজাহার সূত্রে জানা যায়, তার ১০ বছরের সন্তানটি স্থানীয় মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী। ২ নভেম্বর মাদ্রাসা থেকে ছুটি পেয়ে বাড়িতে বেড়াতে আসে সে। ৪ নভেম্বর বিকেলে বাড়ি থেকে মাদ্রাসা যাওয়ার পথে চন্দনাইশ উপজেলা সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড ছলিয়ার পাড়া এসবিএম ব্রিক ফিল্ড সংলগ্ন পূর্ব পাশের দানুর পুকুর পাড়ের রাস্তায় পৌঁছলে আসামি উৎপল কান্তি বৈদ্য শিশুটিকে পেয়ারা খাওয়ার লোভ দেখিয়ে দানুর পুকুরের পূর্ব পাশের ঝোপঝাড়ের ভিতর নিয়ে যায়। সেখানে উৎপল শিশুটিকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বককে যৌন নির্যাতন করে। পরে অভিযুক্ত উৎপল ছেলেটিকে পাশবিক অত্যাচার শেষে পুকুরের পানিতে নামিয়ে দিয়ে পরিষ্কার হয়ে বাড়িতে চলে যেতে বলে। পরবর্তীতে বাড়ি ফিরে ছেলে তার মাকে বিস্তারিত জানায়। রাতে তার বাবা রাতে বাড়ি ফিরলে ছেলে ও স্ত্রী ঘটনার বিস্তারিত জানালে তিনি তাৎক্ষণিক স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের নিকট থেকে ওষুধ এনে খাওয়ায়। পরদিন ৫ নভেম্বর রাতে উৎপলকে একমাত্র আসামি উল্লেখ করে থানায় এজাহার দায়ের করে।
পুলিশ জানায়, ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত আসামি উৎপল কান্তি বৈদ্য পলাতক ছিল। আসামি পালিয়ে প্রথমে সাতকানিয়া-লোহাগড়া উপজেলা এক আত্মীয়ের বাড়িতে, পরে চট্টগ্রাম শহরসহ বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপন থাকে।
বুধবার রাতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় চন্দনাইশ উপজেলার বরকল-বরমা ইউনিয়নের কালিরহাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে উৎপলকে গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চন্দনাইশ থানার এসআই অজয় চক্রবর্তী জানান, ছেলে শিশুকে যৌন নির্যাতনের ঘটনা সত্য। কিন্তু প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি অস্বীকার করেছে।
আসামি গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে চন্দনাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওবায়দুল ইসলাম বলেন, আসামিকে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মামলা দায়েরের ৪৮ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার বিকালে আসামি উৎপল কান্তি বৈদ্যকে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
শিশুকে যৌন নির্যাতনের দায়ের করা আসামি উৎপল কান্তি বৈদ্যকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।