সময় চেয়ে চার মাস ধরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সাক্ষাৎ পাননি বলে অভিযোগ করেছেন তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু।
তিনি বলেন, আমরা প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ চেয়েও পাইনি। অথচ স্টারলিংকের কোম্পানি স্পেসএক্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট এলে তার সঙ্গে উনি দেখা করেন। যে কোম্পানি ১শ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে চায়। অথচ তিনি (প্রধান উপদেষ্টা) ৪০ বিলিয়ন ডলারের খাতের প্রতিনিধির সঙ্গে দেখা করেন না।
গত মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্স ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
বিজিএমএই সভাপতি বলেন, কারও সঙ্গে নেগোসিয়েশন করতে হলে তার সঙ্গে বসতে হয়। তিনি যদি সময় না দেন তাহলে কিভাবে নেগোসিয়েশন করব! আমরা বারবার সময় চেয়েও সময় পাইনি।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দেশের ব্যবসায়ীদের চেয়ে বিদেশিদের কথায় বেশি গুরুত্ব দেয় বলে অভিযোগ করেন নিট তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিকেএমইএর) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। তিনি বলেন, আমরা আমাদের সমস্যাগুলো সরকারকে জানাতে চেয়েও বারবার ব্যর্থ হয়েছি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের চট্টগ্রাম বন্দর মুনাফায় রয়েছে। প্রতিবছর এই বন্দরে ভালো মুনাফা হচ্ছে। সর্বশেষ বছরে দুই হাজার কোটি টাকার বেশি মুনাফা করেছে এই বন্দর। তারপরও সরকার বিভিন্ন পণ্য সেবার মাশুল একলাফে ৪১ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটি ৫-১০ শতাংশ বাড়ানো যেত, কিন্তু একবারেই ৪১ শতাংশ বৃদ্ধি করা কোনোভাবেই যৌক্তিক নয়।
তিনি প্রশ্ন করেন, বিদেশি কোনো পক্ষের কাছে বন্দর ছেড়ে দেওয়ায় পরিচালন ব্যয় যদি না কমে, তাহলে সেটি করায় আমাদের স্বার্থ কার? বিদেশি একটি পক্ষকে বন্দর পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে, এতে খরচ তো কমার কথা। উল্টো মাশুল বাড়ানো হচ্ছে। এটি তো হওয়ার কথা নয়।








