চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত দক্ষিণ এশিয়ার সর্বপ্রথম সুড়ঙ্গপথ বঙ্গবন্ধু টানেল দেখতে ছুটির দিনে মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ে। এ জন্য বিকেলের দিকে টানেলের ভেতরে-বাইরে তৈরি হয় তীব্র যানজট। স্থবির হয়ে পড়ে সড়ক। দুই পাশে প্রায় ৮ কিলোমিটারজুড়ে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকে গাড়ি। কয়েক মিনিটের টানেল পাড়ি দিতে সময় লেগে যায় দেড়-দুই ঘণ্টাও। এ অবস্থায় পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয় পুলিশ কর্মকর্তাদের। ওই সময় টানেলের ভেতর বাসের সঙ্গে সংঘর্ষে দুমড়ে–মুড়চে যায় একটি প্রাইভেট কার। এতে আহত হয়েছেন তিনজন।
সিএমপি ট্রাফিক সার্জেন্ট তৌফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ছুটির দিন হওয়ায় শহর ও চট্টগ্রাম ছাড়াও বাইরে থেকেও অনেকেই টানেল দেখতে আসে। ফলে গাড়ির চাপ বাড়ায় টানেলে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। শুক্রবার বিকেল থেকে টানেলের উভয় প্রান্তে প্রায় ৮ কিলোমিটার জুড়ে তৈরি হয় এই যানজট।’
বন্দর জোন ট্রাফিকের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ছুটির দিন হওয়ায় টানেলে যানবাহনের ভিড় ছিল। এছাড়া এয়ারপোর্ট এবং বন্দরগামী গাড়ি চলাচলের জন্য টানেলের পতেঙ্গা প্রান্তে গোলচত্বর এলাকায় বেশি ভিড় ছিল। আমাদের অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করে যানচলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করেছি।
এদিকে শুক্রবার (৩ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে টানেলের ভেতর বাসের সঙ্গে প্রাইভেটকারের সংঘর্ষ হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় দুমড়ে–মুচড়ে গেছে প্রাইভেট কারটি। এতে আহত হয়েছেন তিন জন।
খবর পেয়ে টানেলের কুইক রেসপন্স টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুর্ঘটনা কবলিত গাড়িটি উদ্ধার করে যানচলাচল স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনে।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কাজী মো. ফেরদাউস বলেন, একটা দুর্ঘটনা হয়েছিল। আমাদের টিম দ্রুত উদ্ধার করেছে। দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দুটি উদ্ধার করে জব্দ করা হয়েছে। দুর্ঘটনার পর একপাশ দিয়ে যানচলাচল হয়েছে। উদ্ধার প্রক্রিয়া শেষে বর্তমানে একেবারে স্বাভাবিক রয়েছে।
গত ২৮ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষিণ এশিয়ার সর্বপ্রথম বঙ্গবন্ধু টানেলের শুভ উদ্বোধন করেন। পরদিন (২৯ অক্টোবর) সকাল ৬টা থেকে এটি জনসাধারণের যানচলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।