এশিয়া কাপের সুপার ফোরের ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে খুব বেশি সুবিধা করতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৫৭ রান তোলে লঙ্কানরা। ফলে ফাইনালে খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখতে হলে বাংলাদেশকে করতে হবে ২৫৮ রান।
কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কাকে ভালো শুরু এনে দেন দুই ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা ও দ্বিমুথ করুণারত্নে। উদ্বোধনী জুটিতে ৩৪ রান সংগ্রহ করেন এই দুই ব্যাটার। এরপর ১৭ বলে ১৮ রান করা করুণারত্নেকে সাজঘরে ফেরান পেসার হাসান মাহমুদ। তার বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন কুশল মেন্ডিস।
নিশাঙ্কাকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন মেন্ডিস। রান তোলার গতি সচল রেখে দেখেশুনে খেলতে থাকেন এই দুই ব্যাটার। এরপর মাঝে দুই ক্যাচ মিস করেন বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। তবে দলীয় ১০৮ রানে বাংলাদেশকে ব্রেক থ্রু এনে দেন শরিফুল। ৬০ বলে ৪০ রান করা নিশাঙ্কাকে আউট করেন তিনি। এরপর অর্ধশতক পূরণ করা মেন্ডিসকে সাজঘরে পাঠান শরিফুল।
এরপর ক্রিজে আসেন চারিথ আসালঙ্কা। সাদিরা সামাবিক্রমাকে সঙ্গে নিয়ে খেলতে থাকেন আসালাঙ্কা। তবে দলীয় ১৪৪ রানে ২৩ বলে ১০ রান করা আসালাঙ্কাকে আউট করেন তাসকিন আহমেদ। পরে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকে আউট করেন হাসান। সামাবিক্রমাকে সঙ্গে নিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন দাসুন শানাকা। দুজন মিলে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ৬০ রান যোগ করেন।
সাবলীল ব্যাটিংয়ে অর্ধশতক তুলে নেন সামাবিক্রমা। তবে দলীয় ২২৪ রানে ৩২ বলে ২৪ রান করে আউট হন শানাকা। তাকে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান হাসান। শানাকার বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন দুনিথ ওয়েল্লালাগে।
একপ্রান্তে উইকেট হারালেও অন্যপ্রান্তে আগ্রাসী ব্যাটিং চালিয়ে যান সামাবিক্রমা। দলীয় ২৪৩ রানে রান আউটের শিকার হন ওয়েল্লালাগে। ৩ বলে ৩ রান করে ফিরে যান তিনি। এরপর ক্রিজে আসা থিকসানাকে দ্রুতই আউট করেন তাসকিন। ইনিংসের শেষ বলে তাসকিনের বলে আউট হওয়ার আগে ৭২ বলে ৯৩ রান করেন সামাবিক্রমা। শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৫৭ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নেন হাসান মাহমুদ ও তাসকিন আহমেদ। এছাড়া শরিফুল ইসলাম নেন দুটি উইকেট।