বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, শেখ হাসিনা দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়েছেন বাংলাদেশের মানুষের করের টাকা দিয়ে। দলবল, পরিবারসহ দক্ষিণ আফ্রিকায় উপস্থিত হয়েছেন। ব্রিকসের নাকি সদস্য হবে। ওখানে যে ওদের অফিশিয়াল ফটোগ্রাফার আছে। যারাই ওখানে অতিথি হিসেবে গিয়েছে বা উপস্থিত ছিলো তাদের ছবিতেও শেখ হাসিনা নেই। তাহলে শেখ হাসিনা কোথায় ছিলো? ওই বাংলাদেশী কিছু আওয়ামী লীগের লোকজন ওখানে আছে। দক্ষিণ আফ্রিকাতে যত বাঙ্গালী থাকে তার ৯০ শতাংশ হচ্ছে বিএনপি। আমি জেনে বলছি। ১০ শতাংশ হচ্ছে তারা, যাদের পরিবার এখানকার লুটপাটের ভাগ পাচ্ছে এই দুর্নীতিবাজ সরকার থেকে। এদেরকে নিয়ে উনি একটি সভা করেছেন ওখানে। গেছেন কোন কাজে, করছেন কি। গেছে ওখানে সদস্যপদের জন্য। ওখান থেকে বঞ্চিত হয়ে এদের সাথে গিয়ে সভা করছে। ওখানে কি বলছে? নৌকায় ভোট দিতে বলছে। ওরা কেউ কিন্তু ভোটার না? ওরা তো দক্ষিণ আফ্রিকায় থাকে। বাংলাদেশের করের টাকা খরচ করে আপনি দক্ষিণ আফ্রিকায় গেছেন কি নৌকায় ভোট চাইতে?
শনিবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে নগরীর কাজির দেউরি নুর আহম্মেদ সড়কে
কর্তৃত্ববাদী সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবীতে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে কেন্দ্র ঘোষিত কালো পতাকা গণমিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর নেতৃত্বে কালো পতাকা হাতে নিয়ে গণমিছিলটি কাজীর দেউরী নুর আহম্মেদ সড়ক থেকে শুরু হয়ে লাভলেইন, বৌদ্ধ মন্দির মোড়, চেরাগী মোড় হয়ে আন্দরকিল্লা মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটনের পরিচালনায় গণমিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান।
আমীর খসরু বলেন, আওয়ামী লীগের কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। শুধু কয়েকটি জায়গায় যেতে পারবে। একটি হচ্ছে প্রতিদিন টাকা দিয়ে বিরানী খাইয়ে শান্তি কমিটির মিটিং করা। আবার টাকা নিয়ে, বিরানী খেয়েও বিএনপির মিছিলেও চলে আসে অনেকে। এটা আমি সত্যি কথা বলছি। এই হলো জনগণের সাথে আওয়ামী লীগের অবস্থা।
সভাপতির বক্তব্যে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আজকের গণ মিছিল হচ্ছে ভোট ডাকাত সরকারের বিরুদ্ধে কালো পতাকা প্রদর্শন। বিদেশে হাজার কোটি টাকা পাচার ও বেগম খালেদা জিয়াকে গৃহবন্দী করে রাখার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। বর্তমানে মানুষের কোন অধিকার নেই। বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস সহ মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করা হয়েছে। দেশে আইনের শাসন নেই। বিচার বিভাগকে আজকে আওয়ামী যন্ত্রে পরিণত করা হয়েছে। তাই দেশের মানুষ তাদের অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এ এম নাজিম উদ্দীন বলেন, দফা এক দাবী এক, শেখ হাসিনার পদত্যাগ। সরকারকে পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরায় বহাল করতে হবে। সেই সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।
আবুল হাশেম বক্কর বলেন, বাংলাদেশের অস্তিত্বের সংকট চলছে। ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগ জোর করে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে। স্বাধীনতার মূল চেতনা ধ্বংস করেছে। প্রতিনিয়ত গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ নষ্ট করছে। নির্বাচনী ব্যবস্থা ধ্বংস করে ফেলেছে। জনগণ নির্বাচন বিমুখ হয়ে গেছে।
আবু সুফিয়ান বলেন, আওয়ামী লীগ সবসময় বলে, নির্বাচন হবে সংবিধানের অধীনে, এর বাইরে তারা যাবে না, তাহলে বাংলাদেশে বিএনপি নেতা কর্মীদের গায়েবি মামলা দিয়ে গ্রেফতার করছেন, সেটা কোন সংবিধানে লেখা আছে? ১৪ ও ১৮ সালে মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করেছেন, সেটা কোন সংবিধানের অধীনে করেছেন। সেটা জানতে চাই? এসব করে পার পাওয়া যাবে না। বাংলাদেশের মানুষ জেগে উঠেছে। শেখ হাসিনাকে যেতেই হবে।
এতে আরো বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এড. আবদুস সাত্তার, এস এম সাইফুল আলম, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য এরশাদ উল্লাহ, জয়নাল আবেদীন জিয়া, হাজী মো. আলী, মাহবুব আলম, এড মুফিজুল হক ভূঁইয়া, নিয়াজ মো. খান, ইকবাল চৌধুরী, এস এম আবুল ফয়েজ, নাজিম উদ্দীন আহমেদ, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, আবুল হাশেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মন্জুর আলম চৌধুরী মন্জু, মো. কামরুল ইসলাম, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, সাধারন সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, বিভাগীয় শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক শেখ নুরুল্লাহ বাহার, মহানগর মহিলাদলের সাধারণ সম্পাদক জেলী চৌধুরী, থানা বিএনপির সভাপতি মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, হাজী বাবুল হক, মো. আজম, হাজী মো. সালাউদ্দীন, মোশাররফ হোসেন ডেপটি, আবদুস সাত্তার সেলিম, মো. সেকান্দর, হাজী হানিফ সওদাগর, আবদুল্লাহ আল হারুন, ডা. নুরুল আবছার, এম আই চৌধুরী মামুন, থানা সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, জাহিদ হাসান, মো. শাহাবুদ্দীন, হাজী বাদশা মিয়া, জসিম উদ্দিন জিয়া, মাঈনুউদ্দীন চৌধুরী মাঈনু, মনির আহম্মেদ চৌধুরী, আবদুল কাদের জসিম, রোকন উদ্দিন মাহমুদ, নুর হোসাইন, কৃষকদলের আহবায়ক মো. আলমগীর, সদস্য সচিব কামাল পাশা নিজামী, ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলম, সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন, জাসাসের আহবায়ক এম এ মুছা বাবলু প্রমূখ।