কক্সবাজারে ট্রলার থেকে ইয়াবা উদ্ধারের মামলায় ট্রলারমালিকসহ ৯ জনের প্রত্যেককে সাত বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ট্রলারমালিককে অর্ধকোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে তাকে আরও দুই বছর কারাভোগ করতে হবে।
বাকি আট আসামির প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা এবং তা অনাদায়ে আরও একবছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এদের মাঝে ট্রলারমালিকের সাজা সশ্রম।
রোববার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল এ রায় ঘোষণা করেন।
ট্রলারমালিক সুলতান আহমদ কক্সবাজার শহরের রুমালিয়ারছড়া পিটি স্কুল এলাকার মো. আবু বকরের ছেলে।
রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) ফরিদুল আলম রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি শহরের মাঝির ঘাট এলাকায় সুলতান আহমেদের ট্রলার থেকে সাড়ে চার লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে র্যাব। এসময় ওই ট্রলারে থাকা আটজনকে আটক করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যমতে সুলতান আহমেদের বাড়ি থেকে আরও ৫০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এ রায় দিয়েছেন আদালত।
পিপি ফরিদুল আলম বলেন, এ রায় মাদক ব্যবসায়ীদের জন্য একটি মেসেজ। শুধু বহনকারীরা নয়, পরিবহন মালিকরাও সমান অপরাধী সেটাই প্রমাণ হয়েছে। রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।