রবিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৫, ২৪ কার্তিক, ১৪৩২, ১৭ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭

অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচনের ‘জোরালো’ উদাহরণ’ তৈরি করুক বাংলাদেশ: ব্লিংকেন

বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের দিকে যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি সারা বিশ্বের দৃষ্টি রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন।

মুক্তি৭১ ডেস্ক :

<div class="paragraphs"><p>যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরে বৈঠকে অ্যান্টনি ব্লিংকেন&nbsp;ও এ কে আব্দুল মোমেন। &nbsp;</p></div>

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরে বৈঠকে অ্যান্টনি ব্লিংকেন ও এ কে আব্দুল মোমেন।

অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ক্ষেত্রে বিশ্বে বাংলাদেশ যেন ‘শক্তিশালী’ দৃষ্টান্ত তৈরি করতে পারে, সেই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন।

বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের দিকে যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি সারা বিশ্বের দৃষ্টি রয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে সোমবার ওয়াশিংটনে পররাষ্ট্র দপ্তরে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। ওই দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে ব্লিংকেন এ প্রত্যাশার কথা জানান।

ব্লিংকেন বলেন, “বিশ্ব বাংলাদেশের পরবর্তী নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে। অবশ্যই আমরা চাইছি যে যাতে তারা (বাংলাদেশ) অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ক্ষেত্রে এই অঞ্চল ও বিশ্বে জোরালো উদাহরণ তৈরি করুক।”

ওয়াশিংটন সময় সোমবার দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকের শুরুতে মোমেনকে পররাষ্ট্র দপ্তরে স্বাগত জানান ব্লিংকেন।

ব্লিংকেন বলেন, গত ৫০ বছরে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে ব্যাপক পরিসরে, যা বিবেচনায় নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। অর্থনৈতিকভাবে, জনগণের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক, জলবায়ু পরিববর্তন থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যসহ প্রভৃতি খাতে দুই দেশ একযোগে কাজ করে আসছে।

মিয়ানমারে সেনা নীপিড়নের মুখে দেশটি থেকে পালিয়ে আসা ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীকে মানবিক আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেন ব্লিংকেন।

তিনি বলেন, “আমরা অর্থনৈতিক উন্নয়ন, মানবাধিকারের পাশাপাশি সম্পর্ককে শক্তিশালী ও গভীর করার উপায় খুঁজে বের করার জন্য একসঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।“

অন্যদিকে, বৈঠকের শুরুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, “বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের রয়েছে বহুমুখী, গতিশীল ও বিস্তৃত সম্পর্ক। গত ৫০ বছরে আমরা বেশ ভালো করেছি এবং আগামী ৫০ বছরের দিকে তাকিয়ে আছি।“

বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুদেশের অংশীদারিত্বের কথা তুলে ধরে মোমেন বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন ও সহযোগিতা ও সক্রিয় অংশীদারিত্বের আমরা অনেক কিছু অর্জন করেছি।“

বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ককে ‘শক্তিশালী’ ও মজবুত’ করার লক্ষ্যে এই সফর জানিয়ে মোমেন বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদারিত্বে বাংলাদেশ গর্বিত এবং আমাদের লক্ষ্য ভবিষ্যতে যেন আরও ভালো দিন আসে।“

বৈঠক শেষে ওয়াশিংটনে হোটেল ওমনি শোরেহামে গিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন।

নির্বাচনের বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হওয়ার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “তারা অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথা বলেছে। আমরাও অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই এবং আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।“

অবাধ, নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করার জন্য ছবিসহ ভোটার আইডি, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স এবং নির্বাচনকালী ‘সব ক্ষমতা’ দিয়ে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গড়ে তোলার বিষয় বৈঠকে তুলে ধরার কথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

এক প্রশ্নে নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা চাওয়ার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “তারাও চান একটা অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক, একটা মডেল নির্বাচন হবে তারা চান। অবশ্যই, আমরাও মডেল নির্বাচন চাই, আমাদের রক্তে হচ্ছে গণতন্ত্র, রক্তে হচ্ছে ন্যায়বিচার, ৩০ লাখ লোক প্রাণ দিয়েছে গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও মানবিক মর্যাদার জন্য।

“আমরাও চাই। তবে এ ব্যাপারে আপনাদের সাহায্য চাই, আপনারাও আমাদের সাহায্য করেন যাতে আমরা স্বচ্ছ, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে পারি।”

যুক্তরাষ্ট্রকে পর্যবেক্ষক পাঠানোর আহ্বান জানানোর কথা তুলে ধরে মোমেন বলেন, “আমরা তোমাদের পর্যবেক্ষকদের স্বাগত জানাই। তোমরা আসো।

“তবে নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ শুধু সরকার করতে পারবে না। সেজন্য সব বিরোধী দলকে এগিয়ে আসতে হবে, তাদেরকে অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। তাদের অংশগ্রহণ ছাড়া অবাধ, নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন হবে না।”

তিনি বলেন, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সরকার সব ধরনের পরিবেশ তৈরি করছে, সে কথাও বৈঠকে জানানো হয়েছে।

বৈঠকে আলোচনার প্রসঙ্গ টেনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “যত খুশি পর্যবেক্ষণ পাঠাও। আগে ২৫ হাজার পর্যবেক্ষক ছিল। কিন্তু বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত দলীয় মনোভাবাপন্ন কেউ যাতে পর্যবেক্ষক না হয়।”

র‌্যাবের কার্যক্রম নিয়ে বৈঠকে আলোচনার বিষয়ে এক প্রশ্নে মোমেন বলেন, “আমরা বলেছি, হত্যা নির্যাতন, সন্ত্রাস বন্ধ হয়ে গেছে এদের কারণে।”

আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত পাঠাতে যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ করার কথাও মন্ত্রী বলেন।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ওপর যুক্তরাষ্ট্র গুরুত্ব দিচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশংসা করেছেন। রোহিঙ্গাদের জন্য তারা আমাদের খুব প্রশংসা করেছেন।

“বলেছেন, বাংলাদেশ এটা অভাবনীয় কাজ করতেছে। বলেছেন, তাদের কিছু অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড দিতে এবং আমরা বলেছি, কিছু দিয়েছি।”

যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গাদের চাকরির ব্যবস্থা করতে বলেছে জানিয়ে মোমেন বলেন, বাংলাদেশ বলেছে, প্রত্যেক বছর বাংলাদেশের ২০ লাখ লোক কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করে, পাঁচ লাখ বিদেশে যায়।

“বলেছি, আপনাদের এখানে নিয়ে আসেন। আর আপনারা তাদেরকে স্কিল ট্রেইনিং দিতে পারেন, আমরা স্বাগত জানাব।”-বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

সুদানের এল-ফাশের থেকে ৬০ হাজারের বেশি মানুষ পালিয়েছে: জাতিসংঘ

জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) জানিয়েছে, সুদানের আধাসামরিক বাহিনী আরএসএফ এর দখল করা এল-ফাশের শহর থেকে ৬০ হাজারের বেশি মানুষ পালিয়েছে। প্রায় ১৮-মাস ধরে অবরোধ, অনাহার

বিস্তারিত »

সুদ হার কমালো মার্কিন ফেডারেল

অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা ও সরকারি অচলাবস্থার (শাটডাউন) মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) এ বছর দ্বিতীয়বারের মতো সুদের হার কমিয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতির প্রভাব ও

বিস্তারিত »

বন্দর বন্ধ রেখে অবৈধ পণ্য ও চোরাচালান ঠেকাতে গেলে ‘উল্টো ফল’ হবে

কোনো ধরনের পূর্বঘোষণা বা প্রস্তুতি ছাড়াই বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে সন্ধ্যা ৬টার পর আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রাখার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তাতে বাণিজ্যিক কার্যক্রমে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে

বিস্তারিত »

প্যারিসের ল্যুভর মিউজিয়ামে কীভাবে হলো দুঃসাহসী চুরি

  প্যারিসের ল্যুভর মিউজিয়ামে এত নিরাপত্তার মধ্যেও কীভাবে হলো দুঃসাহসী চুরি- এমন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে অনেকের মনে। সেখানে কীসের ঘাটতি ছিল, চোরেরা কীভাবে ঢুকলো আর

বিস্তারিত »

মালয়েশিয়ায় পা রেখেই নেচে উঠলেন ট্রাম্প, ভিডিও ভাইরাল

মালয়েশিয়ায় পা রেখেই নেচে উঠলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাকে স্বাগত জানাতে কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে উপস্থিত হয়েছিলেন একদল স্থানীয় শিল্পী। তাদের পরিবেশনা দেখতে দেখতেই হঠাৎ নেচে

বিস্তারিত »

আন্তর্জাতিক আর্থিক ব্যবস্থা পুনর্গঠনের দাবি জানালো বাংলাদেশ

জেনেভায় গৃহীত ‘জেনেভা কনসেন্সাস’ এর মধ্য দিয়ে জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন বিষয়ক সম্মেলনের ১৬তম মন্ত্রীপর্যায়ের শীর্ষ অধিবেশন (আঙ্কটাড ১৬) সফলভাবে সমাপ্ত হয়েছে। ২০-২৩ অক্টোবর অনুষ্ঠিত

বিস্তারিত »

থাইল্যান্ডের রানি মা সিরিকিত মারা গেছেন

  থাইল্যান্ডের রানি মা সিরিকিত থাইল্যান্ডের রানি মা সিরিকিত আর নেই। দেশটির রাজপ্রাসাদের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ৯৩ বছর বয়সে তার মৃত্যু হয়েছে। থাইল্যান্ডের রাজা

বিস্তারিত »

সৌদি ওমরাহতে যাওয়ার আগে রিটার্ন টিকিট বাধ্যতামূলক করলো

এখন থেকে সৌদি আরবে ওমরাহ করতে গেলে রিটার্ন টিকিট কাটতে হবে ও যাত্রার সময় চেক-ইন কাউন্টারে ফিরতি টিকিট দেখানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অন্যথায় যাত্রীকে বোর্ডিং

বিস্তারিত »

জাতিসংঘের পরবর্তী মহাসচিব নির্বাচন নিয়ে মতবিরোধ

জাতিসংঘের পরবর্তী মহাসচিব নির্বাচনে প্রার্থীদের বিশ্বের সব অঞ্চল থেকে বিবেচনা করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটনের এই অবস্থান ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি

বিস্তারিত »