জো বাইডেনের হতাশাজনক বিতর্কের পারফরম্যান্সে হতবাক ডেমোক্র্যাটরা। মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্টকে তার মানসিক সুস্থতার বিষয়ে স্বচ্ছ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ডেমোক্র্যাটের দুই আইনপ্রণেতা। নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার জন্য বাইডেনের নিজের দলের পক্ষ থেকে প্রথম আহ্বানের মুখোমুখি হওয়ার পর ডেমোক্র্যাটরা মানসিক সুস্থতার বিষয়ে স্বচ্ছ হওয়ার এই আহ্বান জানালো।
এদিকে নিউইয়র্ক টাইমসের সম্পাদকীয়তে একজন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক বাইডেনকে নির্বাচন থেকে সরে দাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। কিছু সমর্থক ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে গত সপ্তাহের টেলিভিশন শোডাউনের পর ৮১ বছর বয়সী বাইডেনের প্রার্থীতা নিয়ে ক্রমবর্ধমান সন্দেহ প্রকাশ করেছে। বিতর্কের সময় বাইডেন তার কথায় হোঁচট খেয়েছিলেন এবং তার চিন্তার ধারাবাহিকতা হারিয়ে ফেলেছিলেন। এতে তার বয়স সম্পর্কে ভয়কে আরো বাড়িয়ে তুলেছে।
প্রথম ডেমোক্র্যাটিক আইন প্রণেতা কংগ্রেসম্যান লয়েড ডগেট যিনি প্রকাশ্যে বাইডেনকে অন্য প্রার্থীর জন্য পথ তৈরি করার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘তিনি আশাবাদী প্রেসিডেন্ট ‘নিজের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করার বেদনাদায়ক এবং কঠিন সিদ্ধান্ত নেবেন।’
ডেমোক্র্যাটিক পার্টির হেভিওয়েট এবং হাউসের প্রাক্তন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি বলেছেন, বাইডেনের বিতর্কের বিপর্যয়টি একক সমস্যার পরিবর্তে গভীর সমস্যার ইঙ্গিত করে কি-না তা জিজ্ঞাসা করা এখন ‘বিধিসম্মত’ বিষয়।
বাইডেন বিতর্কে পরাজয়ের পর থেকে কোন লাইভ সাক্ষাৎকার দেননি বা প্রেস কনফারেন্স করেননি, যার অর্থ তাকে আবার চাপের মধ্যে অলিখিত মন্তব্য দিতে হয়নি।
এবিসি নিউজ ঘোষণা করেছে শুক্রবার তাদের নেটওয়ার্ক বাইডেনের সাক্ষাৎকার নেবে এবং দিনের শেষ দিকে প্রচার করবে।
মঙ্গলবার তিনি তার বিতর্ক ফ্লপের জন্য আন্তর্জাতিক ভ্রমণ থেকে ক্লান্তিকে দায়ী করেছেন।
একটি তহবিল সংগ্রহ অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে বাইডেন বলেছেন, বিতর্কের কিছুদিন আগে ‘দুইবার বিশ্বজুড়ে ভ্রমণ করার জন্য তিনি ‘খুব স্মার্ট ছিলেন না’।
‘আমি আমার কর্মীদের কথা শুনিনি’ এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি মঞ্চে প্রায় ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।’
১৯৪৪ সালের মিত্রবাহিনীর ফ্রান্স উপকূলে অবতরণ স্মরণে বাইডেন ৫ থেকে ৯ জুন ফ্রান্সে ভ্রমণ করেন। তারপর যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে ক্যালিফোর্নিয়া সফরের সাথে সাথেই জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনের জন্য ইতালিতে যান। এরপর তিনি দেশে ফিরে আসেন এবং কয়েক দিনের বিশ্রাম এবং বিতর্কের প্রস্তুতি নেন।
মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জিন-পিয়েরে বিতর্কটি ‘একটি খারাপ রাত’ বলে স্বীকার করে বলেছেন, বাইডেন প্রতিকূলতা থেকে ‘কীভাবে ফিরে আসতে হয়’ তা জানেন।