আওলাদে রাসুল সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়ালিহি ওয়াসাল্লাম, গাউসুল আযম বিল বিরাসত হযরত মওলানা শাহ্ সুফি সৈয়দ গোলাম রহমান (ক.)’র মহান ‘২২ চৈত্র উরস শরিফ’। এ বরকতময় দিন উপলক্ষে ‘এস জেড এইচ এম ট্রাস্ট প্রকাশন’ ‘আলোকধারা বুকস’-এর ‘মাইজভাণ্ডার শরিফ পরিচিতি’ হতে অতি সংক্ষিপ্ত জীবনী উপস্থাপন:
“মাইজভাণ্ডারীয়া ত্বরিকার প্রবর্তক গাউসুল আযম মাওলানা শাহ্ সুফি সৈয়দ আহমদ উল্লাহ্ মাইজভাণ্ডারী (ক.)”-এর ভ্রাতুষ্পুত্র ও প্রধান খলিফা সৈয়দ গোলাম রহমান ‘হযরত বাবা ভাণ্ডারী’ এই নামে সর্বত্র পরিচিত ও গাউসুল আযম বিল বিরাসত মাওলানা শাহ্ সুফি সৈয়দ গোলাম রহমান মাইজভাণ্ডারী
প্রকাশ: হযরত বাবা ভাণ্ডারী (ক.) [১৮৬৫-১৯৩৭]
বাবা: সৈয়দ আবদুল করিম। মাতা: সৈয়দা মোশাররফ জান।
জন্ম: ২৭ আশ্বিন, মতভেদে ১৩ ভাদ্র ১২৭০ বাংলা সোমবার (১৮৬৫ খ্রিঃ)।
শিক্ষা: প্রাথমিক শিক্ষার হাতেখড়ি পারিবারিক ফোরকানিয়া মাদরাসায়। অতঃপর শহর চট্টগ্রামের মোহসেনিয়া মাদরাসা, ফটিকছড়ির জামেয়ুল উলুম সিনিয়র মাদরাসা হয়ে চট্টগ্রাম সরকারী মাদরাসা। জামায়াতে উলার ফাইনাল পরীক্ষা চলাকালীন আধ্যাত্মিক ভাব বিভোরতার কারণে প্রাতিষ্ঠানিক লেখা পড়ার পরিসমাপ্তি।
বিবাহ: তেইশ বছর বয়সে জামাতে দোয়ামের ছাত্রাবস্থায় ফটিকছড়ির সুয়াবিল নিবাসী সৈয়দ কমর চাঁদ শাহ (রহ.) এর বংশধর আলহাজ্ব সৈয়দ আশরাফ আলী (রহ.)-এর প্রথমা কন্যা মোসাম্মৎ জেবুন্নেসা বেগমের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
সায়ের (সফর): হযরত গাউসুল আযম মাইজভাণ্ডারী এই ভ্রাতুষ্পুত্রকে অতি আদরের সাথে প্রীতির নজরে দেখতেন সর্বদা। বাবাভাণ্ডারীও তাঁর প্রতি ছিলেন পতঙ্গতুল্য আশেক। কিন্তু উচ্চমার্গীয় আধ্যাত্মিক নির্দেশনার কারণে বাহ্যিক দৃষ্টিতে দ্বন্দ্ব-সংঘাত এড়ানোর জন্য হযরত সাহেবানীর পরামর্শে বাবা ভাণ্ডারী সায়েরে (আধ্যাত্মিক পরিভ্রমণ) বেরিয়ে যান। অতঃপর নদী-সাগর, বনজঙ্গল, পাহাড়-পর্বত ইত্যাদি সায়ের (সফর) করে ৪০ বছর বয়সে বাড়ি ফিরে আসেন।
আধ্যাত্মিক মাহাত্ম্য: হযরত বাবা ভাণ্ডারীর আধ্যাত্মিক মাহাত্ম্যের কিংবদন্তিতূল্য বহিঃপ্রকাশ ছিল তাঁর হস্তনিঃসৃত পানি। হাড় কাঁপানো প্রচণ্ড শীতের মধ্যেও তাঁর পবিত্র ডান হাত মোবারকের উপর ঘন্টার পর ঘন্টা একাধারে পানি ঢালা হতো। দূরারোগ্য ব্যাধির উপশম এবং মনষ্কামনা পূরণের নিয়তে আশেক ভক্তরা এ নাতিশীতোষ্ণ পানি সংগ্রহ