প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখছে পুলিশ। জীবনবাজি রেখে ধ্বংসাত্মক কাজ প্রতিরোধ করে মানুষের জানমাল রক্ষায় ভূমিকা রাখে পুলিশ সদস্যরা। তিনি বলেন, পুলিশের ওপর জনগণের যে আস্থা তৈরি হয়েছে, সেটা ধরে রাখতে হবে।
মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) সকালে ‘পুলিশ সপ্তাহ ২০২৩’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বক্তব্য দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখছে পুলিশ। ২০১৩-১৪ সালে অগ্নিসন্ত্রাসে পুলিশও রেহাই পায়নি। নির্দয়ভাবে পুলিশকে হত্যা করেছে বিএনপি-জামায়াত। জীবনবাজি রেখে ধ্বংসাত্মক কাজ প্রতিরোধ করে মানুষের জানমাল রক্ষায় ভূমিকা রাখে পুলিশ সদস্যরা। এমন ধ্বংসাত্মক পরিস্থিতি বাংলাদেশে যেন আর না ঘটে।
শেখ হাসিনা বলেন, জঙ্গিবাদের হাত থেকে আমরা দেশকে রক্ষা করেছি। জঙ্গি, সন্ত্রাস ও মাদক প্রতিরোধেও পুলিশ ভূমিকা রাখছে। জনগণের পুলিশ হিসেবেই জনগণের সেবা দিচ্ছে পুলিশ। সরকারের দায়িত্ব পালনে তিন মেয়াদে পুলিশের আধুনিকায়নেও ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আরো গতিশীল করতে একে ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে রূপ দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
শেখ হাসিনা বলেন, অনেক চক্রান্ত হয়েছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। বাংলাদেশ কখনও ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হতে পারে না। কোনো প্রতিবন্ধকতা যেন অগ্রযাত্রায় বাধা না হয়ে দাঁড়ায়, মন্দার ধাক্কা যেন না আসে, সেদিকে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধ ও তার প্রেক্ষাপটে সৃষ্ট পরিস্থিতি তৈরি না হলে আমরা আরও এগিয়ে যেতে পারতাম। ১৯৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য। এ সময় পুলিশকেও আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞানসম্মত স্মার্ট পুলিশ গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য।
তিনি আরও বলেন, ‘এক ইঞ্চি জমিও যেন আনাবাদী না থাকে; তাহলেই কেবল আশা করি, আমরা এ পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারবো।’