নিহতের নাম আবু তাহের (৪৮)। তাকে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে আব্দুল জলিল (৪০) নামে এক ব্যক্তি।
পুলিশ বলছে, জলিল তার সাবেক স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক থাকার সন্দেহে তাহেরকে পিটিয়ে হত্যা করেন।
পতেঙ্গা থানার ওসি কবির হোসেন জানান, স্টিল এলাকায় বৃহস্পতিবার জলিল তার স্ত্রীর মামাত ভাই ও মামাত বোনের স্বামীকে নিয়ে তাহেরকে বাসা থেকে ডেকে বাইরে এনে এনে মারধর করেন। তাহেরকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করালে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন মারা যান তিনি।
এ ঘটনায় তাহেরের মেয়ে পতেঙ্গা থানায় মামলা করেন। অভিযোগ পেয়ে শুক্রবার নোয়াখলীর কিল্লার হাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে জলিলকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে পুলিশ কর্মকর্তা কবির জানান।
খুনের কারণের বিষয়ে তিনি বলেন, জলিলের সঙ্গে তার স্ত্রী রওশন আরার তালাক হয়ে যায়। স্ত্রী তার ১২ বছর বয়সী সন্তানকে নিয়ে স্টিল এলাকায় থাকে, আর জলিল নোয়াখালীতে থাকেন। রওশন আরার পাশের বাসায় তাহের থাকতেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে রওশন আরাকে না ক্ষেত্রে সহযোগিতা করতেন। যা নিয়ে জলিলের সন্দেহ ছিল।
তালাক হয়ে যাওয়ার পরও জলিল পুনরায় রওশন আরার সঙ্গে সংসার করতে চেয়ে চাইছিলেন। গত ৯ ডিসেম্বর জলিল চট্টগ্রামে এসে রওশন আরার মামীর বাসায় ওঠেন। ১৪ ডিসেম্বর রওশন আরার বাসায় গিয়েছিলেন।
পুলিশ কর্মকর্তা কবির বলেন, পরদিন সকালে জলিল বাসা থেকে বের হওয়ার পর রওশন তার ১২ বছর বয়েসী ছেলেকে নিয়ে বাসা ছেড়ে চলে যায়। জলিল বাসায় এসে স্ত্রী-সন্তানকে না দেখে ধারণা করেন যে তার স্ত্রী-সন্তানকে তাহের লুকিয়ে রেখেছে। ওই সন্দেহ থেকেই জলিলের উপর হামলা হয়।