বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর একের পর এক মেগা প্রকল্প নিয়ে দেশকে বদলে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। বিশেষ করে উনার যে ভিশন ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করা, সেই হিসেবে তিনি বাণিজ্যিক রাজধানী খ্যাত চট্টগ্রামের বন্দর পাহাড় এবং কর্ণফুলী নদীকে উন্নয়নের দ্বার হিসেবে বেছে নিয়েছেন। এখানে সমুদ্র বন্দর থেকে শুরু করে বড় বড় প্রকল্প তিনি হাতে নিয়েছেন। বিশেষ করে এলিভেটেড এক্সপ্রেস রোড, দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণ, চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়ক ৬ লেনে প্রশস্ত করণ, সব মিলিয়ে বাংলাদেশকে একটি আধুনিক অর্থনৈতিক দেশে রূপান্তরিত করার জন্য তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। আমরা আশা করছি বাংলাদেশ একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে।
বঙ্গবন্ধু টানেল অবশ্যই ওয়ান সিটি টু টাউন গড়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। এই টানেল চীনের সাংহাই এর আদলে তৈরি। এটি দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বপ্রথম নির্মিত। এটি এক সময় আমাদের জন্য স্বপ্ন ছিল যেটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর আন্তরিকতা, মেধা, দেশপ্রেম, সততা ও আদর্শ দিয়ে একের পর এক স্বপ্নগুলো বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। এই টানেল যদিও বা চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত হয়েছে। তবে এটি নির্মাণের ফলে শুধু চট্টগ্রামবাসী নয় সারা দেশের মানুষ সুফল ভোগ করবেন। ইতিমধ্যে কোরিয়ান ইপিজেড গড়ে উঠেছে এবং চায়না অর্থনৈতিক জোনসহ বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে। ফলে এসব প্রতিষ্ঠানে দেশের লক্ষ লক্ষ বেকার যুবকের কর্মসংস্থান হবে। তাতে দেশ অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হবে।
বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণের ফলে চট্টগ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন হবে। বিশেষ করে দক্ষিণ চট্টগ্রামের কর্ণফুলী, আনোয়ারা, বাঁশখালী, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া এবং কক্সবাজার-টেকনাফ দিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থায় সাধারণ মানুষ লাভবান হবে। বিশেষ করে আগে যেখানে গন্তব্যস্থানে যেতে ৪ ঘণ্টা সময় লাগতো সেখানে এখন প্রায় অর্ধেক সময় সাশ্রয় হবে। এসব এলাকায় বসবাসকারী মানুষের জীবনমান উন্নত হবে, সময় সাশ্রয় হবে।
কর্ণফুলীর তলদেশে টানেল নির্মাণের ফলে এতদঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বিশাল একটা প্রভাব পড়বে, আমুল পরিবর্তন হবে। সহজ যোগাযোগের মাধ্যমে এসব অঞ্চলের উৎপাদনকৃত কৃষি পণ্য থেকে শুরু করে সবকিছু সহজে নগরে পৌঁছাতে পারবে। এতে করে ওইসব এলাকা অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিকভাবে সমৃদ্ধি লাভ করবে।
দক্ষিণ এশিয়ার সর্বপ্রথম টানেল চট্টগ্রামে কর্ণফুলীর তলদেশে নির্মাণ করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। বঙ্গবন্ধু কন্যা তাঁর দরদি হৃদয়, আন্তরিকতা ও ভালোবাসা দিয়ে চট্টগ্রামবাসীর জন্য এই টানেল উপহার দিচ্ছেন। চট্টগ্রামবাসীর পক্ষ থেকে আমরা হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের তনয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে সাদর সম্ভাষণ জানাচ্ছি।
মফিজুর রহমান : সাধারণ সম্পাদক, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ।