এবার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিয়েছে ভারত। আগের ম্যাচে আফগানদের বিপক্ষে ১৩১ রানের ইনিংস খেলা রোহিত শর্মা এদিন খেললেন ৮৬ রানের ইনিংস। মুলত তার ইনিংসে ভর করেই বাবর আজমের দলকে ৭ উইকেটে সহজে হারিয়েছে কোহলিরা।
শনিবার( ১৪ অক্টোবর) মাঝারি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভারতকে ভালো শুরু এনে দিতে পারেননি রোহিত ও শুভমান গিল। দুজনে ওপেনিং জুটিতে যোগ করেন মাত্র ২৩। ব্যক্তিগত ১৬ রানে শাহীন শাহ আফ্রিদির করা শর্ট ডেলিভারিতে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে শাদাব খানের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন গিল। দ্বিতীয় উইকেটে ৫৬ রান যোগ করেন কোহলি ও রোহিত।
ভালো শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি কোহলি। তাকে বিদায় করেছেন হাসান আলী। পাকিস্তানি এই পেসারের বলে মিড উইকেটের ওপর দিয়ে পুল করতে গিয়ে মিড অনে ধরা পড়েছেন মোহাম্মদ নাওয়াজের হাতে। তাতে শেষ হয়ে কোহলির ১৬ রানের ইনিংস। একপ্রান্ত আগলে রেখে দারুণ খেলছিলেন রোহিত। ভারতীয় অধিনায়ক মাত্র ৩৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছিলেন।
রোহিতের ৬৩ বলে ৮৬ রানের ঝড়ো ইনিংস থামিয়েছেন আফ্রিদি। আফ্রিদির করা অফ কাটারে বিভ্রান্ত হয়ে মিড উইকেটে ইফতিখার আহমেদের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। বাকি সময়টা দেখেশুনে খেলে ভারতকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান শ্রেয়াস আইয়ার ও লোকেশ রাহুল। আইয়ার ৬২ বলে ৫৩ ও রাহুল ২৯ বলে ১৯ রান নিয়ে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন।
এর আগে এই ম্যাচে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানকে বেশ ভালো শুরু এনে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক ও ইমাম উল হক। দুজনে মিলে যোগ করেছিলেন ৪১ রান। সিরাজের করা গুড লেন্থের ডেলিভারিতে ফ্লিক করতে গিয়ে ইন সাইড এজ হয়ে আউট হয়েছেন ২০ বলে ২১ রান করা আব্দুল্লাহ শফিক।
এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ইমাম উল হকও। তাকে ফুল লেন্থের ডেলিভারিতে ড্রাইভ করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন পাকিস্তানের এই ব্যাটার। তৃতীয় উইকেটে বাবরকে নিয়ে পাকিস্তানের হাল ধরেন রিজওয়ান। তারা দুজনে যোগ করেন ৮২ রান। বাবর হাফ সেঞ্চুরি তোলার পর ধৈর্য্য হারিয়ে সিরাজের বলে বোল্ড হয়েছেন।
মূলত এরপরই বিপর্যয় শুরু হয় পাকিস্তানের। তারা শেষ ৩৬ রানের মধ্যে ৮ উইকেট হারিয়ে ফেলে। শেষের দিকে পাকিস্তানের আর কোনো ব্যাটারই বলার মতো রান করতে পারেননি। ভালো শুরু করলেও ১২ রানের বেশি করতে পারেননি হাসান আলী।
স্বীকৃত ব্যাটারদের মধ্যে ইফতিখার আহমেদ ৪, শাদাব খান ২ ও মোহাম্মদ নাওয়াজ ৪ রান করে আউট হয়েছেন। ভারতের বোলারদের মধ্যে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন বুমরাহ, সিরাজ, পান্ডিয়া, কুলদীপ ও রবিন্দ্র জাদেজা। ভারতের ৬ বোলারের মধ্যে শুধুমাত্র উইকেট শূন্য ছিলেন শার্দুল ঠাকুর।