চট্টগ্রামের পটিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে চলছে অস্ত্রধারী গরু চোর সিন্ডিকেটের চুরি। সংঘবদ্ধ চোরের দল দিনে অনুসন্ধান, রাতে অস্ত্র নিয়ে গরু ও ছাগল লুট করে নিচ্ছে। আন্তঃজেলা গরু চোর চক্রের দুই সদস্যকে পুলিশ গ্রেফতারের পর চাঞ্চল্যকর এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন- খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলার জুলফু মিয়ার পুত্র মোহাম্মদ সেলিম (৪৫) ও সন্দ্বীপ উপজেলার হারাখাল গ্রামের মো. বাবুলের পুত্র ওমর ফারুক (২৫)।
বুধবার (৬ মার্চ) পটিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তাররাহুম আহমেদের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে দিয়েছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। গত দুই মাসে পটিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে পুলিশ ২১ জন গরু চোরকে গ্রেপ্তার করেছে। এসময় ১৮টি গরু ও ১টি ছাগল উদ্ধার করে পুলিশ।
জানা গেছে, ২০২৩ সালের ১১ সেপ্টেম্বর উপজেলার হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নে একদল অস্ত্রধারী গরু চোর সিন্ডিকেট চুরি করতে যায়। কিভাবে গরু চুরি করা যায় তা চোর চক্র দিনে অনুসন্ধান করে পরিকল্পনা করে।
রাতে অস্ত্রধারী সংঘবদ্ধ চোরের দল উপজেলার হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নের ঝুলন বৈদ্যের গোয়াল ঘরে গরু চুরির জন্য চোরের দল হানা দেয়। ওই সময় বাঁধা দেওয়ায় চোরের দল গরুর মালিক ঝুলনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে এক পর্যায়ে লাঠি আঘাতে মারাত্মকভাবে জখম করে। পরবর্তীতে তিনি মারা যান।এ ঘটনায় পটিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা হয়।
পটিয়া থানার ওসি জসীম উদ্দিন জানান, তিনি যোগদানের আগে থেকেই পটিয়ায় গরু চুরির ঘটনা ছিল। গরু চোরের একাধিক সিন্ডিকেট রয়েছে। তাদেরকে গ্রেফতার করতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযানও করা হয়েছে। গরু চুরি ও হত্যা মামলার তদন্ত করতে গেলে চোর চক্রের তথ্য মিলে। ইতোমধ্যে দুই আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। এতে তারা ওই গরু চোর চক্রের ৯ সদস্যের নামও প্রকাশ করেছেন। চোর চক্রের ওইসব সদস্যদের গ্রেফতার করা হবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।