সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সরকারকে বিদ্যুতে যথেষ্ট ভর্তুকি দিতে হচ্ছে এই ভর্তুকি ধীরে ধীরে কমাতে চাই। সে কারণে সমন্বয় করাটা জরুরি হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ সুবিধা যদি বজায় রাখতে হয়, তাহলে সমন্বয় করতে হবে।
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ধানমন্ডিতে সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপির আমলে লোডশেডিংয়ের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে কাদের বলেন, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন দিনে ১৮ ঘণ্টা লোডশেডিং আর ৫ বছরে ৯ বার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছিল। আমরা শতভাগ বিদ্যুৎ দিয়েছি। ২৯৭০০ মেগাওয়াটে উন্নীত করেছি। বিদ্যুতে অনেক ভর্তুকি দেয়া হয়েছে। এবার ভর্তুকি কমাতে চাই, তাই সমন্বয় করতে হবে।
বিএনপি এখন হতাশায় ডুবে আছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, কর্মীদের ক্ষমতার মুলা যে নেতারা দেখিয়েছিল শেষে দেখা গেল তারা ভুল রাজনীতি করেছিল। এখন ভুল স্বীকার করবে যে, আন্দোলনে ভুল ছিল। বরং নির্বাচনে না আসা বিএনপির সবচেয়ে বড় ভুল।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘বিএনপি নেতারা বলেছেন, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবেন। আন্দোলনে সরকার পরিবর্তন হবে। প্রশ্ন হলো দেশে নির্বাচন হলো তারা নির্বাচনে অংশ নেয়নি, সন্ত্রাস করেছে। আন্দোলনের নামে কত ভয়ঙ্কর কিছু হতে পারে তা বারবার দেখিয়েছে বিএনপি। এখন আন্দোলনের অর্থ দেখি না। জনগণের সম্পৃক্ততা ছিল না বলে আন্দোলনে ব্যর্থ হয়েছে তারা।’
বিএনপির সমালোচনা করে কাদের বলেন, বিএনপি ছিল ব্যবসায়ীদের সরকার। আওয়ামী লীগ ব্যবসা করতে ক্ষমতায় আসেনি। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে হাল ছেড়ে দেয়নি সরকার। কোনো অপরাধীকে ছাড় দেয়া হবে না। কেননা আওয়ামী লীগ সিন্ডিকেট সমর্থন করে না। যারা মজুতধারী করছে, সিন্ডিকেট করছে তারা বিএনপির পৃষ্ঠপোষকতায় করছে।
তিনি বলেন, ‘অর্থনীতির সংকট আছে। এজন্য বাংলাদেশ দায়ী নয়। জনগণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে জিনিসপত্রের দাম রাখার জন্য কাজ করছে সরকার। রোজা সামনে রেখে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া সিদ্ধান্ত হয়েছে ভারত ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ রফতানি করবে।’
ভারত প্রসঙ্গে কাদের আরও বলেন, ‘ভারত দুঃসময়ের বন্ধু। সংকটে পাশে থাকে। এবারও দেশি-বিদেশি খেলায় পাশে ছিল ভারত। শেখ হাসিনাকে কেউ বা কোনো দেশ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। ভারত বন্ধু, বন্ধুর মতো থাকবে। সহযোগিতার অর্থ নিয়ন্ত্রণ নয়।’