বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ২৭৪ স্কোর নিয়ে ১ নম্বরে অবস্থান করছে ঢাকা। এদিন সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে এই অবস্থান দেখা যায়। যা ঢাকার বাতাসের মানকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে নির্দেশ করে।
একই সময় ১৯০ স্কোর নিয়ে চীনের শেনইয়াং ২, ১৮৪ স্কোর নিয়ে মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন ৩, ১৭৭, ১৬৬ ও ১৬০ স্কোর নিয়ে ভারতের কলকাতা, মুম্বাই ও দিল্লি আছে যথাক্রমে ৪, ৯ ও ১০ নম্বরে। ১৭৬ ও ১৭০ স্কোর নিয়ে পাকিস্তানের করাচি ও লাহোর আছে যথাক্রমে ৫ ও ৭ নম্বরে। ১৭১ স্কোর নিয়ে ঘানার আক্রা ৬ ও ১৬৯ স্কোর নিয়ে রাশিয়ার ক্রাসনয়ার্স্ক ৮ নম্বরে অবস্থান করছে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার-এ তালিকা প্রকাশ করে। প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের জন্য কোন ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে, তা জানায়।
১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে বাতাসের মান “সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর”, ১৫০ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে “অস্বাস্থ্যকর” বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে “খুব অস্বাস্থ্যকর” বলা হয়, ৩০১+ একিউআই স্কোরকে “ঝুঁকিপূর্ণ” হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়। ২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রেরসংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।