চট্টগ্রামের কালুরঘাটে দ্বিতীয় সেতু নির্মাণে আরও পাঁচ বছর সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সদর দপ্তর সিআরবিতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী জানান, কালুরঘাট সেতু (রেল কাম রোড) প্রকল্পের সমীক্ষা শেষ হয়েছে। বর্তমানে সেটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। একনেক সভায় অনুমোদন পেলে দরপত্র আহ্বান করে নির্মাণ প্রক্রিয়া শুরু হবে। কালুরঘাটের মতো একটি সেতু নির্মাণ করতে তো সময় লাগবে। চার-পাঁচ বছরের মধ্যে এটা চালু হয়ে যাবে।
জিল্লুল হাকিম রেল নিয়ে পরিকল্পনা সম্পর্কে বলেন, রেল তো একসময় বন্ধ হয়ে যাওয়ার অবস্থা ছিল। পুরনো অনেক লাইন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে দক্ষ লোকদের বিদায় করা হয়েছিল। বর্তমানে দক্ষ জনবলের অভাব আছে; নিয়োগের মাধ্যমে আমরা সেই ঘাটতি পূরণের চেষ্টা করছি।
তিনি বলেন, এরই মধ্যে অনেক ইঞ্জিন কেনা হয়েছে। বগিও আনা হয়েছে। আরও কিছু ইঞ্জিন আমদানি হচ্ছে। তাছাড়া নতুন নিয়োগ আমরা অব্যাহত রেখেছি, তাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে তোলা হচ্ছে। রেলকে সাশ্রয়ী পরিবহন খাত হিসেবে দাঁড় করাতে চাই।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে পরিকল্পনা প্রত্যেকটি জেলায় রেলের সংযোগ স্থাপন এবং যতদূর সম্ভব জনগণকে সবচেয়ে কম খরচে যাতায়াতের সুযোগ করে দেওয়া।
ঢাকা-কক্সবাজার লাইনে দুটি আন্তঃনগর ট্রেন চালু হয়েছে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চালুর বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে কমিউটার ট্রেন চালু হবে।
সাংবাদিকরা জানান, বৃহত্তর চট্টগ্রামের মানুষের দাবি একটি আন্তঃনগর ট্রেন চালু করা। জবাবে মন্ত্রী বলেন, আগে আমরা শুরু করি। বসার জায়গা করতে পারলে শোয়ার জায়গা হয়ে যায়। আমি তো শিক্ষানবিশ মন্ত্রী। তবে আমি চ্যালেঞ্জ নিতে রাজি আছি।