ফের স্থগিত ঘোষণা করা হলো সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগ (সিসিএল)। দ্বন্দ্বের জেরে এই সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগ স্থগিত করা হয়েছে।
এর আগে প্রথম দফায় তারকাদের মধ্যে সংঘর্ষের কারণে স্থগিত করা হয়েছিল এই টুর্নামেন্ট। তার সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর তিক্ততা ভুলে ১৭ অক্টোবর দ্বিতীয় দফায় সেমিফাইনাল ও ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার তারিখ দেওয়া হয়।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উল্লেখিত তারিখে সেমিফাইনালের দুই ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু সালাহউদ্দিন লাভলুর দলের রাব্বী এবং দীপংকর দীপনের দলের অন্তুর মধ্যে দ্বন্দ্ব লাগে। মারামারি না হলেও এতে তৈরি হয় বিশৃঙ্খলা।
বেলা ১১টার দিকে সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগের খেলা শুরু হয়। পরপর কয়েকটি ম্যাচ। প্রথম সেমিফাইনালে চয়নিকা চৌধুরীর দলকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে দীপঙ্কর দীপনের দল। এই ম্যাচ শেষ হতেই শুরু হয় নতুন নাটকীয়তা। দুই দলের ঝামেলার কারণে দ্বিতীয় সেমিফাইনালের আগে খেলা প্রায় দুই ঘণ্টা বন্ধ ছিল। দীর্ঘ দেন-দরবারের পর শুরু হয় দ্বিতীয় সেমিফাইনাল। এ ম্যাচে গিয়াসউদ্দিন সেলিমের দলকে হারিয়ে বিজয়ী হয় সালাহউদ্দিন লাভলুর দল।
কিছুক্ষণ পর ফাইনাল শুরু হওয়ার কথা থাকলেও দুই দলের খেলোয়াড় নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে তা আর হয়নি। দুই দলের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেও সমাধান বের করতে পারেননি আয়োজকরা। তিন ঘণ্টার বেশি সময় নিলেও কোনো সিদ্ধান্তে আসতে না পেরে শেষ পর্যন্ত ফাইনাল ম্যাচ স্থগিতের ঘোষণা আসে আয়োজকদের পক্ষ থেকে।
এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে দীপংকর দীপনের খেলোয়াড়দের ওপর হামলা চালান মোস্তফা কামাল রাজের দলের খেলোয়াড়রা। এতে আহত হন ৬ জন। তারকাদের ক্রিকেটের এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে। শুরু হয় সমালোচনা। পরে এক সংবাদ সম্মেলনে, সংঘর্ষে জড়ানো তারকারা কোলাকুলি করে তিক্ততা ভুলে যান।
মিরপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে শুরু হওয়া সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগে মোট ৮টি দলে লড়ছেন বিনোদন অঙ্গনের তারকা ও কলাকুশলীরা। প্রতি দলে নারী-পুরুষ তারকারা অংশ নিয়েছেন। এসব দলের নেতৃত্বে আছেন গিয়াসউদ্দিন সেলিম, সালাহউদ্দিন লাভলু, শিহাব শাহীন, চয়নিকা চৌধুরী, দীপংকর দীপন, সকাল আহমেদ, মোস্তফা কামাল রাজ ও রায়হান রাফী।