প্রকৃত ধর্মাচার মানুষের অন্তরকে শুদ্ধ করে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর ১৪ দলের সমন্বয়ক ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) শুভ জন্মাষ্টমী উৎসব উপলক্ষে সকালে নগরের জেএম সেন হলে শ্রীশ্রী জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে দিনব্যাপী ফ্রি চিকিৎসা সেবা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
খোরশেদ আলম সুজন বলেন, ধর্ম মানুষকে মানবিক হতে শেখায়। শ্রীকৃষ্ণ সবসময় মানবতার বাণী প্রচার করে গেছেন। পাশবিক শক্তি যখন ন্যায়নীতি, সত্য ও সুন্দরকে গ্রাস করতে উদ্যত হয়েছিল, তখন সেই শক্তিকে দমন করে মানবজাতির কল্যাণ এবং ন্যায়নীতি প্রতিষ্ঠার জন্য শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব ঘটেছিল। দুষ্টের দমন করতে এভাবেই যুগে যুগে শ্রীকৃষ্ণ মানুষের মাঝে নেমে আসেন এবং সত্য ও সুন্দরকে প্রতিষ্ঠা করেন।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অসাম্প্রদায়িক জাতি চেতনার ভিত্তিতে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। কোন অজুহাতে সাম্প্রদায়িক শক্তি যাতে আবারো মাথা চাড়া দিতে না পারে সেদিকে সকলকে দৃষ্টি দানের আহবান জানান তিনি।
জন্মাষ্টমীর মাধ্যেমে মানুষে মানুষে সম্প্রীতি গড়ে উঠুক, সুন্দর ও সৌহার্দ্যপূর্ণ হোক হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিস্টানের ভাতৃত্ব। তিনি আরো বলেন মানবতার অনন্য নিদর্শন হচ্ছে স্বাস্থ্য সেবা। আজ একটি সুন্দর দিনে শত শত মানুষকে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার মতো মহৎ কোন কাজ হতে পারে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। মহতী এ আয়োজনের জন্য শ্রীশ্রী জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি এবং কেন্দ্রীয় চিকিৎসা সেবা কমিটিসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে কৃতজ্ঞতা জানান খোরশেদ আলম সুজন।
সংগঠনের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণ কান্তি দত্তের সভাপতিত্বে এবং লিপটন দেবনাথ লিপুর সঞ্চালনায় এসময় স্বাগত বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় চিকিৎসা সেবা কমিটির সচিব বিশিষ্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. কথক দাশ।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক লায়ন তপন কান্তি দাশ, প্রকৌশলী আশুতোষ দাশ, শিবু প্রসাদ দত্ত, অর্থ সম্পাদক রতন আচার্য্য, ডা. অঞ্জন কুমার দাশ, অরুন চৌধুরী, নিশান বিশ্বাস, অনির্বাণ দাশ বাবু, ডা. অন্তরদ্বীপ নন্দী, ডা. বিশ্বজিৎ দে, ডা. অভ্র ভট্টাচার্য, ডা. পূজা মল্লিক, ডা. দেবজ্যোতি দাশ, ডা. ইমন সিকদার, ডা. সুকান্ত দাশ প্রমুখ।
দিনব্যাপী ফ্রি চিকিৎসা সেবা অনুষ্ঠানে চক্ষু চিকিৎসা প্রদান করেন লায়ন চক্ষু হাসপাতালের চিকিৎসকবৃন্দ।