ফেনীতে যৌন ব্যবসার অভিযোগে ১৫ পুরুষ ও ছয় নারীকে আটক করা হয়েছে। সোমবার (২১ আগস্ট) রাতে ফেনী শহরের শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়কের এফ রহমান এসি মার্কেটের পিছনে রাহীন টাওয়ারে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে ডিবি পুলিশ। পরে আটকদের ফেনী মডেল থানায় সোর্পদ করা হয়।
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) গ্রেপ্তারদের ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মানবপাচারের মামলা দায়েরের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম চৌধুরী।
স্থানীয়রা জানান, মোটা অংকের মাসোয়ারার বিনিময়ে প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় ভাড়া বাসায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে যৌনকর্মী এনে এলাকায় যৌন ব্যবসা চলছিল। যৌন ব্যবসায়ী আলী মাতব্বর মাদারীপুর জেলার খাগড়াছড়ি গ্রামের বাসিন্দা।
আটক ব্যক্তিরা হলেন, সোনাগাজীর সুলতানপুর গ্রামের মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, বাগেরহাট জেলার চিতন মারি থানার আডুবন্নি গ্রামের সেকান্তর মোহাম্মদ, সোনাগাজীর মো. হানিফ, ফেনীর ছনুয়া গ্রামের অমিত হাসান, নোয়াখালী জেলার সেনবাগ থানার দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের আবুল কালাম, একই উপজেলার দক্ষিণ মোহাম্মদপুর গ্রামের আব্দুল্লাহ আল মামুন, লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর থানার মুহাম্মদ সুমন, ছাগলনাইয়া রাধানগর ইউপির হাসেমপুর গ্রামের মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, কিশোরগঞ্জ জেলার মোশারফ গাজী, ফেনী সদর উপজেলার ছনুয়া গ্রামের ছেলে মোহাম্মদ শিহাবুল ইসলাম, দাগনভূঞার চন্দ্রপুর এলাকার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ছাগলনাইয়া উপজেলার পূর্ব মধু গ্রামের মনসুর আলম, ফেনী সদরের টঙ্গীর পাড়া গ্রামের আব্দুল্লাহ আল রিফাত, ফেনী সদর উপজেলার লেমুয়া গ্রামের ইয়াসিন হোসেন হৃদয়।
এছাড়া আটক নারীরা হলেন, সূত্রাপুর থানার সোনালী, চট্টগ্রাম মিরসরাই থানার জান্নাতুল রায়হান নদী, চট্টগ্রাম রাউজান থানার আসমা আক্তার, চট্টগ্রাম কোতোয়ালী থানার কাজীর টেক গ্রামের শিলা বেগম, চট্টগ্রাম কর্ণফুলী থানার শারমিন আক্তার ও বান্দরবান জেলার হলুদিয়া গ্রামের সুরাইয়া বেগম।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, যৌন ব্যবসা ও অবৈধভাবে যৌনকর্ম করার অভিযোগে ছয় নারীসহ ২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনে মামলা দায়েরের পর মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।