দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির প্রশংসা করেছেন দারিদ্র্য ও মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিবেদক ওলিভিয়ার ডি শ্যুটার।
রোববার (২৮ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে বৈঠক করেন জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিবেদক। বৈঠকে বিশেষ দূত উচ্চ দারিদ্র্যসীমা ৪৮.৯ থেকে ১৮.৭ শতাংশে এবং নিম্ন দারিদ্র্যসীমা ৩৪.৩ থেকে ৫.৬ শতাংশে নামিয়ে আনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির প্রশংসা করেন।
প্রতিমন্ত্রী রাজনৈতিক ও আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট গভীরভাবে অনুধাবন করার আহ্বান জানান যা দারিদ্র্য নিরসনে বাংলাদেশের অগ্রগতির ব্যাপ্তি ও মাত্রা মূল্যায়নের জন্য অপরিহার্য।
বাংলাদেশ সরকারের বেশ কয়েকটি উদ্ভাবনী ও কার্যকর হস্তক্ষেপের কথা উল্লেখ করে তিনি বাংলাদেশের প্রধান রফতানি শিল্প তৈরি পোশাক শিল্পের প্রতিযোগিতামূলকতা এবং নারীর ক্ষমতায়নের মাধ্যমে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক অধিকার আদায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।
বিশেষ দূত জলবায়ু পরিবর্তন এবং রোহিঙ্গা সংকটের কারণে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে তার অনুসন্ধান তুলে ধরেন এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে প্রতিশ্রুতি ও অবদান দ্বিগুণ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
কিছু সুপারিশ তুলে ধরে বিশেষ দূত অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক অধিকার এবং নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারের মধ্যে যোগসূত্রের উপরও জোর দেন এবং অগ্রগতি টেকসই করার জন্য এটির একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রয়েছে বলে মতামত দেন।
এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী জাতিসংঘের ব্যবস্থা এবং মানবাধিকারের ক্ষেত্রে সক্রিয় সিএসওসহ সকলের যথাযথ পরিশ্রম, নিরপেক্ষতা এবং বস্তুনিষ্ঠতার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি জাতিসংঘ মানবাধিকার ব্যবস্থার সঙ্গে বাংলাদেশের চলমান সহযোগিতার কথাও তুলে ধরেন। বিশেষ দূত ২০২৪ সালের জুনে মানবাধিকার কাউন্সিলে এই সফরের বিষয়ে তার প্রতিবেদন উপস্থাপন করবেন।
চরম দারিদ্র্য ও মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত অলিভার ডি শুটার বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রণে ১৭ থেকে ২৮ মে বাংলাদেশ সফর করেন। সফরকালে তিনি সরকারের বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলা এবং কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। তিনি সুশীল সমাজ সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন ।