পেটের মেদ নিয়ে অনেকেই সমস্যায় পড়েন। অনেকে নিয়মিত ব্যায়াম, জিম করেও ভুঁড়ি কমাতে পারছেন না। কারণ, মেদ একবার জমতে শুরু করলে তা ঝরানো খুবই মুশকিল। তাই শরীরে মেদ জমাতে পারে এমন খাবার থেকে সবসময় দূরে থাকতে হবে। একই সঙ্গে এমন কিছু খাবার খেতে হবে যেগুলো শরীরে মেদ জমতে দেয় না।
ভুঁড়ির বাহ্যিক সৌন্দর্য খুব একটা নষ্ট না করলেও এর কারণে শরীরে নানা অসুখ বাসা বাঁধতে পারে। শরীরে মেদ জমলে অর্থাৎ ভুঁড়ি বাড়লে লিভার, প্যাংক্রিয়াস, কিডনিসহ নানা সমস্যা দেখা দেয়। এ ছাড়াও দেখা দিতে পারে ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরলসহ বিপাকীয় নানা সমস্যা।
তাই শরীরকে মেদহীন রাখতে খাবারের তালিকায় যোগ করতে হবে এই ৫ খাবার–
বিনস
উত্তর ভারতের পরিচিত কিডনি বিনস বা রাজমা ডাল এখন আমাদের দেশেও পাওয়া যায়। এ ডাল নিয়মিত খেলে ভুঁড়ি থাকবে নিয়ন্ত্রণে। এ ডালে থাকা ফাইবার ওজন কমাতে বিশেষভাবে কাজ করে। পেটের মেদ ঝরাতেও এটি দারুণভাবে কার্যকর। এ ছাড়াও এ ডালে এমন কিছু উপকারী উপাদান রয়েছে, যা শরীরের প্রদাহ কমাতে কাজ করে। তাই মেদহীন ভুঁড়ি পেতে খাবারের তালিকায় এ ডাল নিয়মিত রাখুন।
দই
শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী ও পুষ্টিকর খাবার দই ভুঁড়ি কমাতেও খুব কার্যকর। দই খেলে শরীর ঠান্ডা থাকে। তীব্র গরমে অনেকেই দই দিয়ে তৈরি লাচ্ছি বা মাঠা খেয়ে থাকেন। ফ্যাটহীন দুধের টক দই খেলে ভুঁড়ি কমবে তরতরিয়ে। ভুঁড়ি কমানোর জন্য বাজারের দই খেলে কোনো লাভ হবে না, খেতে হবে বাড়িতে তৈরি টক দই। গবেষণায় দেখা গেছে, ফ্যাটলেস দই খেলে দ্রুত ওজন কমে। তাই ভুঁড়ি কমাতে নিয়মিত খেতে পারেন এ উপকারী খাবার।
ব্রোকলি
সবুজ রঙের, দেখতে ফুলকপির মতো এ সবজির রয়েছে অনেক গুণ। এ সবজিতে রয়েছে ভিটামিন সি ও ফাইবার। তাই নিয়মিত ব্রোকলি খেলে মিলবে অনেক উপকার। ব্রোকলি পেটে দীর্ঘ সময় ধরে থাকে। ফলে বারবার ক্ষুধা লাগার সমস্যা দূর হয়। এতে বেশি খাবার খাওয়ার ভয়ও থাকে না। ফলে ওজন ও ভুঁড়ি থাকে নিয়ন্ত্রণে। ব্রোকলি রান্না করে অথবা সালাদ হিসেবে খাওয়া যায়। এ খাবারে ভুঁড়ি দূর হবে সহজে।
আপেল সাইডার ভিনেগার
আমাদের শরীরের অনেক সমস্যার সমাধানে কাজ করে আপেল সাইডার ভিনেগার। এ ভিনেগারে রয়েছে অ্যাসিটিক অ্যাসিড। এই অ্যাসিড শরীরের ফ্যাট ঝরাতে কাজ করে। তবে সরাসরি ভিনেগার খাওয়া যাবে না। খেতে হবে ডাইলিউটেড ভিনেগার। আর আপেল সাইডার ভিনেগার খাওয়ার আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।
ওটস
ফাইবারে ভরপুর ওটস শরীরের জন্য খুবই উপকারী। ভুঁড়ি কমাতে চাইলে নিয়মিত ওটস খেতে হবে। এ খাবার দীর্ঘ সময় পেটে থাকে। ফলে অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার কোনো ভয় থাকে না। এতে ওজন ও ভুঁড়ি নিয়ন্ত্রণে থাকে। এ ছাড়া ওটস ব্লাড সুগার এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে খুবই কার্যকর।