আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের প্রথম কিস্তির ৪৭৬.১৭ মিলিয়ন ডলার ছাড় করেছে। বাংলাদেশ সময় বুধবার (০১ ফেব্রুয়ারি) রাতে এ অর্থ ছাড় করে আইএমএফ।
বৃহস্পতিবার (০২ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে এ ঋণের টাকা যোগ হয়। এদিন সন্ধ্যায় বাংলানিউজকে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক।
তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ঋণের অপর কিস্তিগুলো সিডিউল অনুযায়ী যথারীতি ছাড় করা হবে।
এর আগে সোমবার (৩০ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত আইএমএফ নির্বাহী পর্ষদের বৈঠকে বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ অনুমোদন করে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। পরের দিন মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) আইএমএফ’র এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানানো হয়। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালও বিষয়টি এক বিবৃতির মাধ্যমে নিশ্চিত করেন।
সে সময় আইএমএফের বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, বর্ধিত ঋণ সহায়তা (ইসিএফ) ও বর্ধিত তহবিল সহায়তা (ইএফএফ) বাবদ বাংলাদেশ ৩৩০ কোটি ডলার পাবে। সেই সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় গঠিত আইএমএফের রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনিবিলিটি ফ্যাসিলিটি (আরএসএফ) থেকে বাংলাদেশ পাবে ১৪০ কোটি ডলার। এশিয়ায় আরএসএফ তহবিল থেকে সুবিধাপ্রাপ্ত প্রথম দেশ হলো বাংলাদেশ। ৪২ মাসে এ ঋণ ছাড় করা হবে। প্রথম কিস্তিটি দেওয়া হবে ফেব্রুয়ারি মাসে।
সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষা, কম আয়ের মানুষের আয় বর্ধক কাজে সহায়তা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত মোকাবিলা সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে এ ঋণ দেওয়া হচ্ছে। এটি বৃহত্তর সামাজিক সংস্কার ও উন্নয়নমূলক ব্যয়ে সক্ষম আর্থিক তৈরিতে সহায়তা করবে। যাতে আর্থিক খাত শক্তিশালীকরণ, নীতি কাঠামো আধুনিকীকরণ এবং জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা তৈরি হবে।