চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, মেজর জিয়া যদি স্বাধীনতার ঘোষক হন তাহলে ২৬ মার্চ কেন স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয়? ইতিহাস বিকৃতি করে বিএনপি নিজেদেরকে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি বলে প্রমাণ করতে চাইলেও তাদের অতীত ও বর্তমান কর্মকাণ্ডে প্রমাণিত হয়েছে তারা স্বাধীনতাবিরোধী। ইতিহাস বিকৃতি করে বিএনপি ইতিহাসেরই আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের জামালখানে মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা ও বিজয়ের আলোকচ্ছটায় জামালখান শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জামালখান ওয়ার্ড কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেন।
তিনি বলেন, সাড়ে সাত কোটি বাঙালিকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করার জন্য জাতির পিতা ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তার সেই ঘোষণাকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়ার প্রত্যয়ে চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে আওয়ামী লীগ নেতা এম এ হান্নান ২৬ মার্চ প্রথম স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন। রাজনৈতিক নেতার পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করানোর লক্ষ্যে তখন মেজর জিয়াউর রহমানকে দিয়ে ২৭ মার্চ কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধুর এই ঘোষণাপত্র পাঠ করানো হয়। এর পাশাপাশি চট্টগ্রামের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশাজীবীদের দিয়েও মাইকিংয়ের মাধ্যমে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করানো হয়। অথচ বিএনপি মেজর জিয়াকে স্বাধীনতার ঘোষক বানিয়ে ইতিহাস বিকৃতি ঘটিয়েছে।
আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে বাঙালির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধারা দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্ম দিয়েছেন।
অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় পিপিএম বিপিএম বার। অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোস্তাফিজুর রহমান উপস্থিথ ছিলেন। এতে বীর মুক্তিযোদ্ধা সুরজিৎ দাশ শুনু, বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ শহীদুল আনোয়ার, বীর মুক্তিযোদ্ধা সমীরণ বড়ুয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইফুল আনোয়ার, বীর মুক্তিযোদ্ধা গোপাল চন্দ্র সেন (মরণোত্তর) কে সম্মাননা প্রদান করা হয়।