চট্টগ্রামের রাউজানে স্কুলে যাওয়ার পথে অপহরণের শিকার হয়েছে মো. জিসান (১৪) নামে এক অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া ছাত্র। তবে নিজের বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে কৌশলে পালিয়ে এসে জীবন রক্ষা করেছে ওই শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সকালে রাউজান সরকারী কলেজ গেটের সামনে থেকে কুণ্ডেশ্বরী এলাকায় রাউজান সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে যাওয়ার পথে এই ঘটনা ঘটে।
জিসান ফটিকছড়ি উপজেলার ছুরুত আলী মার্কেটের পাশে মোহাম্মদ আলী তালুকদার বাড়ির মো. আবদুল মালেকের ছেলে। বর্তমানে রাউজান সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৮ম শ্রেণির ছাত্র। সে সুবাধে উপজেলার মুন্সিরঘাটা এলাকার বাসিন্দা।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে স্কুলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রাউজান সরকারি কলেজ গেটের সামনে থেকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা উঠে। স্কুলটি চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়কের কুণ্ডেশ্বরী এলাকায় অবস্থিত। ওই অটোরিকশার পেছনের পেছনের সিটে দুই জন লোক ছিলেন। গাড়িটি বেরুলিয়া আসার পর তারা স্কুলের দিকে না নিয়ে ডান দিকে বেরুলিয়া হয়ে হলদিয়া দিকে যাওয়া সড়কে ঢুকে পড়ে। জিসান এসময় চালককে এদিকে কেন নিয়ে যাওয়া হচ্ছে প্রশ্ন করা মাত্র পেছনের সিটে বসা দুই ব্যক্তি তার মুখ চেপে ধরে।
পারিবারিক সূত্রে আরো জানা যায়, ধস্তাধস্তিতে এক পর্যায়ে জিসানের পরনে স্কুলের ড্রেস ছিড়ে যায়। এসময় অপহরণকারীরা তাকে মুখে চেতনানাশক স্প্রে দিয়ে অজ্ঞান করে ফেলে। জ্ঞান ফিরলে জিশান দেখতে পায় তার হাত দুটি বাঁধা। অটোরিকশাটি হলদিয়া ইউনিয়নের হলদিয়া ভিলেজ রোডের দিকে নিয়ে সড়কের এক পাশে দাঁড় করে রেখে দুই দিকে পর্দা দিয়ে ঢেকে রাখে অপহরণকারীরা। এসময় দাঁতে কামড়ে তার হাতের বাঁধন খুলে অটোরিকশা থেকে নেমে কৌশলে পালিয়ে রাউজান জলিলনগর বাস স্টেশনে এসে তার ভাই হাসান ও তার আত্মীয় ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আবছার হোসেনকে ঘটনাটি জানায় জিসান।
এ ঘটনার ব্যাপারে জিশানের পরিবারের পক্ষ থেকে রাউজান থানায় অভিযোগ করার কথা জানান আত্মীয় মোহাম্মদ আবছার হোসেন।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ হোসেন জানান, অপহরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কারো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।