তাইওয়ানে চীনের সম্ভাব্য আক্রমণের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি নিচ্ছে আমেরিকা। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, অস্ট্রেলিয়ায় মহড়া শেষ করে সামরিক সরঞ্জামের মজুত বাড়াতে কাজ করছে জো বাইডেন প্রশাসন। তবে এ নিয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য করেননি আমেরিকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত।
চীন-তাইওয়ান দ্বন্দ্বে বরাবরই তাইওয়ানের পক্ষে আমেরিকা। অন্যদিকে তাইওয়ানকে নিজস্ব ভূখণ্ড দাবি করে আসছে বেইজিং। সম্প্রতি রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, তাইওয়ান দখলে আগামী বছরগুলোতে আসতে পারে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের নির্দেশ, যা নিয়ে উদ্বিগ্ন আমেরিকা ও তার মিত্ররা।
এ পরিস্থিতিতে চীনের সামরিক প্রস্তুতির ওপর নজর রাখতে এবং গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় নিজেদের অবস্থান নিশ্চিত করতে চাইছে মার্কিন সামরিক বাহিনী। আর অস্ট্রেলিয়া সেরকমই একটি জায়গা।
মার্কিন সেনাবাহিনী জানায়, ২০২৩ সালের জুলাই ও আগস্টে হওয়া সামরিক মহড়ার পর দক্ষিণ-পূর্ব অস্ট্রেলিয়ার বান্দিয়ানার গুদামঘরে গোপনে মজুত করা হয় মার্কিন সামরিক সরঞ্জাম, যার মধ্যে রয়েছে প্রায় ৩৩০টি যান ও ১৩০টি কন্টেইনার।
মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, তাইওয়ানে আক্রমণ শুরু করলে আমেরিকা সামরিক সরবরাহ পাঠাতে পারবে না। কারণ হিসেবে চীন মার্কিন জাহাজে বোমা ফেলার চেষ্টা করবে বলে জানান তারা। আর আমেরিকার এই দুর্বলতার সুযোগ নিতে পারে বেইজিং।
আর এজন্য আগেভাগেই অস্ট্রেলিয়াসহ আশপাশের অঞ্চলে সামরিক সরবরাহ কেন্দ্র ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে আমেরিকা।
এদিকে তাইপের সঙ্গে ওয়াশিংটনের যোগাযোগ না বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে তাইওয়ান প্রণালীতে উত্তেজনা বাড়তে পারে এমন কর্মকাণ্ডে না জড়াতে আমেরিকার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আমেরিকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত।