আজ ২৪ জানুয়ারি বুধবার, গাউসুল আযম হযরত সৈয়দ আহমদ উল্লাহ্ মাইজভাণ্ডারী (কঃ)’র ১১৮তম ওরশ শরিফ মহাসমারোহে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এ উপলক্ষে বিভিন্ন মনজিল ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। প্রশাসনের পক্ষেও নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। রওজা শরিফ গোসল ও গিলাফ চড়ানোর মাধ্যমে উরস্ শরিফের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে।
২৪ জানুয়ারী বুধবার প্রদান দিবসের দিন স্ব স্ব মনজিলে কেন্দ্রিয় মিলাদ মাহফিল ও আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন স্ব স্ব মনজিলের প্রধানগণ।
প্রধান দিবসের দিন ছাড়াও গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন মনজিল ব্যাপক কর্মসূচি পালন করে আসছে। ওরশ শরীফ উদযাপন উপলক্ষে ইতোমধ্যে ফটিকছড়ি উপজেলা প্রশাসনের সাথে আহমদিয়া মনজিল ও গাউছিয়া হক মনজিলের প্রশাসনিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় উরস শরিফ সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করা, দেশ-বিদেশ হতে আগত আশেক-ভক্ত ও জায়েরীনদের সুবিধার্থে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা, বিভিন্ন হোটেল খাবারের দাম নিয়ন্ত্রণ ও আইন শৃংখলা রক্ষায় ম্যাজিস্ট্রেট, পর্যাপ্ত পুলিশ,আনসার মোতায়েনসহ মন্জিলের স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ওরশ উপলক্ষে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, স্পেশাল পুলিশ ফোর্স, ১০৫ সদস্য বিশিষ্ট পুরুষ মহিলা আনসার টিম আইনশৃংঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্বে থাকবে। এছাড়া বিভিন্ন মনজিলের সমন্বয়ে আগত আশেক ভক্তের সুবিধার্থে ব্যপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
এদিকে ওরশ শরীফে গত এক সপ্তাহ ধরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আশেক ভক্ত আসতে শুরু করে। ঢোল বাদ্য সহকারে গরু ছাগল মহিষসহ বিভিন্ন হাদিয়া নিয়ে দরবারে আসছেন। রওজায় রওজায় চলছে আশেক ভক্তের ইবাদত বন্দেগী,জিকির আজগার,মিলাদ মাহফিল ও জিয়ারত। ক্যাম্পে ক্যাম্পে ঢোল বাদ্য বাজনা ও মাইজভাণ্ডারী কালাম পরিবেশন। এক কথায় মুখরিত হয়ে উঠেছে মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফ।
এছাড়া ওরশ শরীফ কেন্দ্র করে বসেছে গ্রামীণ লোকজ মেলা। মেলায় পোষাক,রকমারী খাবার গৃহস্থালী প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। দা ছুরি বটি, বেতসামগ্রী, বেড়া, চাটাই, মাছধরার ফাঁদ, হাতপাখা, মোড়া, ফুলদানি, হাঁড়ি পাতিলসহ ঘরে ব্যবহারের ব্যবহারের প্রয়োজনীয় সামগ্রী পাওয়া যায়। তাই মাঘের মেলার জন্য ঘরের বউ ঝিঁয়েরাও অপেক্ষায় থাকে। স্থানীয়দের পাশাপাশি উপজাতিরাও এ মেলায় ছুটে আসে।
এ মেলার অন্যতম আকর্ষণ বড় বড় সাইজের জাপানি মুলা বিক্রি যা ভাণ্ডারী মূলা নামে খ্যাত। মেলার বিভিন্ন স্থানে জমজমাট মূলা বিক্রির দৃশ্য পরিলক্ষিত হয়।