সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৭ আশ্বিন, ১৪৩২, ২৯ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭

দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

মুক্তি ৭১ ডেস্ক

বহুল প্রতীক্ষিত ১০২ কিলোমিটার দীর্ঘ চট্টগ্রামের দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৮০৩৪.৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে এটি দেশে রেল যোগাযোগে নতুন যুগের সূচনা করেছে।

নবনির্মিত রেলস্টেশনে একটি ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে আইকনিক কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশন ও রেল লাইন উদ্বোধনকালে শেখ হাসিনা বলেন, ‘কক্সবাজার রেল যোগাযোগের সাথে যুক্ত হয়েছে। আজ গর্বিত হওয়ার দিন।’

শনিবার (১১ নভেম্বর) দুপুর ১টায় উদ্বোধনের পর আইকনিক রেলস্টেশনের টিকিট কাউন্টার থেকে ১টা ২১ মিনিটে টিকিট কাটেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর সবুজ পতাকা উড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর হুইসেল বাজানোর মাধ্যমে ১টা ২৭ মিনিটে কক্সবাজার থেকে রামুর উদ্দেশে ছেড়ে যায় একটি ট্রেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি সশরীরে উপস্থিত হতে পেরে সত্যিই খুব খুশি হয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, ‘আমি রেলপথ উদ্বোধন করে আমার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছি। এটা এ অঞ্চলের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। আজ সেই দাবি পূরণ হয়েছে।’

নতুন এই রেল যোগাযোগ পর্যটন, শিল্পায়ন, ব্যবসা ও বাণিজ্য বাড়ানোর সাথে সাথে দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী ভিতের ওপর দাঁড় করানোর নতুন আশার সঞ্চার করেছে।
অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবির বক্তৃতা করেন ।

এ সময় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদসহ বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, আওয়ামী লীগের কয়েকজন সিনিয়র নেতা এবং অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ রেলওয়ের কার্যক্রম এবং দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের ওপর একটি ভিডিও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

এরআগে প্রধানমন্ত্রী রেলস্টেশনে পৌঁছালে স্থানীয় শিল্পীদের ঐতিহ্যবাহী নৃত্য পরিবেশনের মাধ্যমে তাকে স্বাগত জানানো হয়।

রেলওয়ে স্টেশন উদ্বোধনের মাধ্যমে, ব্রিটিশ আমলে প্রথম উদ্যোগ নেওয়ার ১৩৩ বছর পর বিশ্বের বৃহত্তম বালুকাময় সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার রেল যোগাযোগের আওতায় এসেছে।

ট্রেন লাইন উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজার থেকে একটি ট্রেনে চড়ে রামু যান।

তবে ঢাকা-কক্সবাজার এই রুটে একটি আন্তঃনগর ট্রেন ১ ডিসেম্বর থেকে চলাচল শুরু করবে। বাংলাদেশ রেলওয়ে ইতোমধ্যে তার সময়সূচী এবং ভাড়া নির্ধারণ করেছে। তবে ট্রেনের নাম এখনও ঠিক করা হয়নি।

ট্রেনটির ঢাকা থেকে কক্সবাজার পৌঁছাতে প্রায় ৮ ঘন্টা ১০ মিনিট সময় লাগবে। এটি ঢাকা বিমানবন্দর এবং চট্টগ্রাম এ দু’টি স্টেশনে থামবে।

ট্রেনটি ঢাকা থেকে রাত সাড়ে ১০টায় ছেড়ে সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে কক্সবাজার এবং কক্সবাজার থেকে দুপুর ১টায় ছেড়ে রাত ৯টা ১০ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছাবে।

ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নন-এসি শোভন চেয়ারের ভাড়া ৩৪৫ টাকা এবং এসি চেয়ারের ভাড়া ৬৫৬ টাকা নির্ধারন করা হয়েছে।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকা থেকে কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান ।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। বিভিন্ন স্লোগান লেখা পোস্টার, প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন ও ব্যানারে পুরো কক্সবাজার সাজিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানিয়েছে কক্সবাজারবাসী।

কক্সবাজার শহরে একটি রেল স্টেশন নির্মাণের পাশাপাশি, দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত আরও সাতটি স্টেশন নির্মাণ করা হয়েছে। রেললাইনটি সংরক্ষিত বনাঞ্চল দিয়ে অতিক্রম করায় হাতি ও অন্যান্য বন্য প্রাণীদের চলাচলের সুবিধার্থে একটি ওভারপাসও নির্মাণ করা হয়েছে।

কক্সবাজার সদর থেকে সাত কিলোমিটার পূর্ব-উত্তরে ঝিলংজা ইউনিয়নের হাজীপাড়া এলাকায় ২৯ একর জমির ওপর নির্মিত হয়েছে দর্শনীয় আইকনিক কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশন।

ছয় তলা স্টেশন বিল্ডিংয়ের আয়তন ১,৮২,০০০ বর্গফুট যার তিনটি প্ল্যাটফর্ম দৈর্ঘ্যে ৬৫০ মিটার এবং প্রস্থে ১২ মিটার।

এগুলো ছাড়াও এর পাশে রেলওয়ে আবাসিক এলাকা নির্মাণ করা হয়েছে। স্টেশনটিতে আবাসিক হোটেল, ক্যান্টিন, লকার এবং গাড়ি পার্কিংও রয়েছে।

এই স্টেশন দিয়ে দিনে প্রায় ৪৬ হাজার মানুষ যাতায়াত করতে এবং পর্যটকরা তাদের লাগেজ স্টেশন লকারে রেখে সমুদ্র সৈকতে সময় কাটাতে পারবে।

এর আগে ৩ এপ্রিল ২০১১ সালে দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার এবং মিয়ানমারের রামু-ঘুমধুমের মধ্যে রেলপথ নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

বিএসসির বহরে নতুন দুই জাহাজ

বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন (বিএসসি) নিজস্ব অর্থায়নে দুটি অত্যাধুনিক বাল্ক ক্যারিয়ার সংগ্রহের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের ক্রিস্টাল বলরুমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে

বিস্তারিত »

দেশের বর্তমান ক্রান্তিকাল উত্তরণে সিইউজের ঐতিহাসিক ভূমিকা স্মরণ

সাংবাদিকদের সমস্যা নিয়ে সংবাদপত্র মালিকদের সঙ্গে কথা বলার জন্য একটি সংগঠনের প্রয়োজনীয়তা থেকে যে সংগঠনটি জন্ম লাভ করেছিলো ষাটের দশকে, তার নাম সিইউজে বা চিটাগাং

বিস্তারিত »

এম এ আজিজ পরিবারের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা এবং ডা. মাহফুজুর রহমান

মঞ্জু ভাইয়ের (অধ্যাপক নুরুদ্দিন জাহেদ মঞ্জু) পরবর্তী ছোট ভাই বাবুল ভাইয়ের (সালাহউদ্দিন আহমদ) অসুস্থ স্ত্রী সাহেদা ইউনুছকে দেখার জন্য দেওয়ানবাজরস্থ এম এ আজিজের বাসায় গিয়েছিলেন

বিস্তারিত »

পূজা নির্বিঘ্নে উদযাপনে সরকারের সর্বোচ্চ সহযোগিতা থাকবে: প্রধান উপদেষ্টা

আসন্ন দুর্গাপূজায় নির্বিঘ্ন ও শান্তিপূর্ণ উদযাপনে সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাষ্ট্রীয়

বিস্তারিত »

নন্দীরহাট লোকনাথ ব্রহ্মচারী সেবাশ্রমে গুণীজন সংবর্ধনা

‘যে সমাজে গুণীর কদর হয় না, সেখানে গুণীজন জন্মায় না’—এই বাণীকে ধারণ করে চট্টগ্রামের নন্দীরহাটে শ্রীশ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারী সেবাশ্রম কেন্দ্রে গত ৫ সেপ্টেম্বর আলোচনা সভা

বিস্তারিত »

আহমদ শরীফ মনীর : রাজনৈতিক তাত্ত্বিক ও দক্ষিণ চট্টগ্রামে মুক্তিযুদ্ধের বিশিষ্ট সংগঠক নাসিরুদ্দিন চৌধুরী

স্বাধীনতা-উত্তর পরবর্তীকালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বিভক্তি এবং একটি নতুন রাজনৈতিক দলের আবির্ভাব প্রত্যক্ষ করে; সেই দলের নাম জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) এটা বোধ হয় কারো অজানা

বিস্তারিত »

বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সদস্য মনোনীত হলেন পূর্বকোণ সম্পাদক ডা. রমিজ

প্রেস কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে মনোনীত হয়েছেন দৈনিক পূর্বকোণ সম্পাদক ডা. ম. রমিজউদ্দিন চৌধুরীসহ ১২ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি। সোমবার (২৮ জুলাই) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে

বিস্তারিত »

বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন অর রশিদ বীর প্রতীক এর মৃত্যুতে গভীর

সাবেক সেনাপ্রধান এম হারুন-অর-রশীদ মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)।  সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম ক্লাবের আবাসিক কক্ষ থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রাতে

বিস্তারিত »

সুলতান কুসুমপুরী ও তাঁর কোম্পানি কমান্ডার হাবিলদার আবু’র মুক্তিযুদ্ধ

মুক্তিযুদ্ধে আওয়ামী লীগের ১৩জন এমপি সম্মুখ যুদ্ধের ট্রেনিং নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তারা সেনা কর্মকর্তাদের ন্যায় মুক্তিযুদ্ধে তাদের গ্রæপকে কমান্ড করেন। এই ১৩ জন এমপি

বিস্তারিত »