পদ্মা সেতুতে রেল চলাচল উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) মুন্সিগঞ্জের মাওয়ায় সুধী সমাবেশে বক্তব্য শেষে প্রকল্পটির উদ্বোধন করেন তিনি। এর আগে, সকাল ১১টায় প্রধানমন্ত্রী মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পৌঁছান। সকাল ১০টা ১০ মিনিটে তিনি সড়কপথে মাওয়ার উদ্দেশে রওনা হন।
উদ্বোধন কার্যক্রম শেষে অতিথিদের নিয়ে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া থেকে ট্রেনে চড়ে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা যাওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রীর। এ সময় ট্রেনে বসে এই সেতু ও ট্রেন রুটের সুবিধা ভোগী বিভিন্ন জনের সাথে কথা বলবেন তিনি। সেখানে দুপুর ২টায় জনসভায় বক্তব্য রাখবেন তিনি।
পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা-যশোর পর্যন্ত রেলপথ চলে গেছে ১৭২ কিলোমিটার। এর শেষ হয়েছে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ৮২ কিলোমিটার রেলপথের কাজ। মাওয়া অংশের উদ্বোধনের পর ট্রেনে মাওয়া থেকে ভাঙ্গা যাওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। সেখানে এক সুধী সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর আগামী ১ নভেম্বর থেকে পদ্মা রেল সেতু দিয়ে যাতায়াত করতে পারবে সাধারণ যাত্রীরা। মাওয়া ভাঙ্গা রুটে ১০টির মধ্যে খুলে দেওয়া হচ্ছে তিনটি স্টেশন।। এরই মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চালানোর প্রাথমিক পদক্ষেপ সম্পন্ন করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, বেলা ১১টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মাওয়া রেলওয়ে স্টেশনে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ঢাকা-ভাঙ্গা অংশের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন তিনি। বেলা পৌনে একটায় রেলপথে মাওয়া রেলওয়ে স্টেশন থেকে ভাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনের উদ্দেশে যাত্রা করবেন। দুপুর পৌনে দুইটায় ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনে উপস্থিত হবেন। দুপুর দুইটায় ভাঙ্গা ডা. কাজী আবু ইউসুফ স্টেডিয়ামে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হবেন। বিকেল চারটায় সড়কপথে ভাঙ্গা থেকে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে রওনা হবেন।








