আফগানিস্তানকে হারিয়ে ভারত বিশ্বকাপে উড়ন্ত সূচনা করেছে বাংলাদেশ। টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজের ঘূর্ণিতে ৩৭ ওভার ২ বলে ১৫৬ রানেই গুটিয়ে যায় আফগানিস্তান। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মিরাজের ৫৭ ও শান্তর অপরাজিত ৫৯ রানে ভর করে ৯২ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় সাকিব আল হাসানের দল।
আফগানদের দেয়া লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশ। তবে ইনিংসের ৫ম ওভারেই ঘটল বিপত্তি! ফজল হক ফারুকির করা বল কাভারে ঠেলে রান নেয়ার জন্য সামনের পায়ে একটু ঝুঁকেছিলেন লিটন। রান নেওয়ার চেষ্টা করেননি তিনি। কিন্তু অপরপ্রান্তে থাকা তামিম ততক্ষণে দৌড়ে উইকেটের মাঝে চলে এসেছিলেন, লিটনের ডাক না শুনেই। নজিবুল্লাহ জাদরানের সরাসরি থ্রোয়ে রান আউট হন তামিম।
তামিমের বিদায়ের পর মাঠে আসেন মিরাজ। ধারণা করা হচ্ছিল এই জুটিতে হয়তো জয়ের বন্দরে পৌছে যাবে বাংলাদেশ। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে ব্যর্থতার বৃত্তে বন্দী থাকা লিটন আজও সফল হননি। ফারুকিকে এগিয়ে এসে মারতে গিয়ে আফ স্টাম্পের অনেক বাইরে থেকে বল টেনে এনে বোল্ড হন এই ওপেনার। সাজঘরে ফেরার আগে লিটনের ব্যাট থেকে আসে ১৮ বলে ১৩ রান।
এবার মিরাজের সঙ্গী হন তার ‘বন্ধু’ শান্ত। দলের নির্ভর যোগ্য এই দুই ব্যাটারের ৯৭ রানের জুটিতে দলকে জয়ের ভীত গড়ে দেন। দুইজনই তুলে নেন হাফসেঞ্চুরিও। মিরাজ ৫৮ বল ফিফটি করেন। এরপর অবশ্য বেশিক্ষণ মাঠে থাকতে পারেননি তিনি। দুই দফা জীবন পেয়ে ফিফটি হাঁকানো মিরাজ থামেন নাভিন উল হককে মিড অফের ওপর দিয়ে তুলে মারতে গিয়ে। সাজঘরে ফেরার আগে করেছেন ৭৩ বলে ৫৭ রান।
মিরাজ ফেরার পর উইকেটে এসে দ্রুতই জয়ের দিকে এগোচ্ছিলেন সাকিব। তবে ৩৪তম ওভারে ওমরজাইকে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে ধরা পড়েন। অধিনায়ক ১৪ রান করে ফিরলেও জয়ের পথে তেমন কোনো সমস্যা হয়নি। বাকি কাজটা মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গে নিয়ে ভালোভাবেই সেরেছেন শান্ত।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে টাইগার বোলিং তোপে ১১২ রানে দুই উইকেট হারানো আফগানিস্তান শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারের খেলায় ৩৭.২ ওভারে সবকয়টি উইকেট ১৫৬ রান তুলে। সাকিব-মিরাজ নেন তিনটি করে উইকেট। ধর্মশালার হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে শুরুটা ভালোই পেয়েছিল আফগানিস্তান। ৫ ওভার শেষে বিনা উইকেটে তারা স্কোরবোর্ডে তুলে ২৭ রান।