দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দণ্ড আরও ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেছে সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের কারা-২ শাখার উপসচিব মোহাম্মদ আবু সাঈদ মোল্লার সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে দাখিলকৃত আবেদন এবং আইন ও বিচার বিভাগ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইনগত মতামতের আলোকে দ্যা কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর (অ্যাক্ট-৫, ১৮৯৮) এর ধারা ৪০১ (১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের ক্রিমিনাল আপিল নং-১৬৭৬/১৮ (বিশেষ আদালত নং-৫, ঢাকা এর বিশেষ মামলা নং-১৭/২০১৭ থেকে উদ্ভূত) এবং বিশেষ আদালত নং-৫, ঢাকা এর বিশেষ মামলা নং-১৮/২০১৭-এ প্রদত্ত বেগম খালেদা জিয়া’র দণ্ডাদেশ নিম্নবর্ণিত শর্ত সাপেক্ষে ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে পরবর্তী ৬ মাসের জন্য নির্দেশক্রমে স্থগিত করা হলো।’
সাজা স্থগিতের শর্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি ঢাকাস্থ নিজ বাসায় থেকে তার চিকিৎসা গ্রহণ করবেন এবং উক্ত সময়ে তিনি দেশের বাইরে গমন করতে পারবেন না।
খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর শেষ হওয়ার কথা। এ অবস্থায় কয়েক দিন আগে খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি এবং চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার জন্য তার পরিবারের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়।
২০২০ সালের মার্চে করোনা মহামারি শুরু হলে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাহী আদেশে দণ্ড স্থগিত করে কারাবন্দি খালেদা জিয়াকে সরকার শর্তসাপেক্ষে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেয়। এরপর কয়েক দফায় বেড়েছে সাজা স্থগিতের মেয়াদ।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ঢাকার একটি বিশেষ আদালত ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার পর ২০১৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান খালেদা জিয়া। পরের বছর ৩০ অক্টোবর হাইকোর্ট এই মামলায় তার আপিল খারিজ করে দেওয়ার পর শাস্তি বাড়িয়ে ১০ বছর করা হয়।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর ঢাকার আরেকটি বিশেষ আদালত সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে দোষী সাব্যস্ত করেন। আদালত তাকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন।