দুটি খালের কাজ নিয়ে জনমনে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ডের ৬টি এলাকার কয়েক হাজার বাসিন্দা নানা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। অপরিকল্পিত কাজের দরুণ এই ভোগান্তি হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, আতুরার ডিপো সংগীত সিনেমা সংলগ্ন ত্রিপুরা খাল বন্ধ করে দিয়ে খালের গাইডওয়াল নির্মাণ করায় খালের অপর প্রান্তে পানি জমে নাজির পাড়া, জাঙ্গাল পাড়া, হামজা খাঁ লেইন, রাজগঞ্জ আ/এ, শাহ আমানত আ/এ, হাদু মাঝি পাড়াসহ সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসাবাড়িতে পানি উঠে পড়েছে। এতেদুর্বিষহ জীবন যাপন করছেন জনগণ। চান্দমিয়া সওদাগর রোড সংলগ্ন নয়া মির্জা খালের গাই- ডওয়াল নির্মাণ কাজ দীর্ঘদিন যাবত চলমান থাকায় খাল সংলগ্ন চান্দমিয়া সওদাগর রোড কাদা মাটিতে সয়লাব। গাইডওয়াল নির্মাণে খালে বাঁধ দেয়ায় খতিবেরহাট, নাজির পাড়া, মোহাম্মদপুর এলাকায় একটু বৃষ্টি হলেই পানি উঠে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে। মুরাদপুর মোড় পার হওয়ার জন্য ৩/৪ ফুট প্রস্তের অস্থায়ী ব্রিজটি পথচারী পারাপারে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
এছাড়া মোহাম্মদপুর এলাকায় ওয়াসা কর্তৃপক্ষ বার বার রাস্তা কাটার ফলে এলাকার রাস্তাগুলোর বেহাল দশা, বর্তমানে মুরাদপুর মোড় থেকে রাস্তা বন্ধ থাকায় বিকল্প পথ হিসেবে মোহাম্মদপুর রাস্তা দিয়ে প্রাইভেট যানবাহন চলাচল করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। এব্যাপারে পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ড কাউ- ন্সিলর মোবারক আলী বলেন, এলাকার জনগণের ভোগান্তির অন্ত নেই । প্রতিদিন দলে দলে লোকজন এসে তাদের দুর্ভোগের বর্ণনা দিচ্ছেন। কিন্তু জনপ্রতিনিধি হিসাবে আমার করার কিছুই নেই। ইচ্ছে হয় পদত্যাগ করে ফেলি। ঠিকাদারের এধরণের গাফেলতি মেনে নেয়া যায় না। নগরীর জলাবদ্ধতা প্রকল্পের পরিচালক লে. কর্নেল শাহ আলীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ত্রিপুরা খালের বাঁধ কেটে ফেলা হচ্ছে। নয়া মীর্জা খালের কাজ শেষ হয়ে গেছে। আর সমস্যা হবে না ।