তিনমাস আগে থেকে আমি খবর পাচ্ছি, তারা বিভিন্ন জায়গায় মিটিং করছে এবং প্রশাসন বিরোধী কথা বলছে। তাদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া ছিলো। চেষ্টা করেছি, কিন্তু সবকিছু পূরণ করতে পারিনি। যারা পদত্যাগ করেছে তাদের সবাইকে রবিউল (সাবেক প্রক্টর) নিয়োগ দিয়েছে।
তারা এখন যা বলছে, সবই মিথ্যা। আমি কোনো অনিয়ম করিনি, বরং অনিয়মে বাধা হয়েছি বলেই তারা এসব করছে। আমি জানতাম এমন কিছু ঘটতে পারে। তাই আমিও ভেতরে ভেতরে তাদের বিকল্প তৈরি করে রেখেছি।
রোববার (১২ মার্চ) রাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রক্টরসহ বিভিন্ন দফতরের ১৮টি পদ থেকে ১৬ জন শিক্ষকের পদত্যাগের বিষয়ে এমন মন্তব্য করেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার।
অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেন, তাদের কিছু এজেন্ডা ছিলো, যেগুলো তারা বিভিন্নজনকে প্রোভাইড করবে। হতে পারে তাদের উপরও বিভিন্ন জায়গা থেকে চাপ ছিলো। কিন্তু আমি তাদের কথায় সায় দিতে পারিনি। এমনকি দু’একজনের নিয়োগ সংক্রান্ত কিছু চাওয়া ছিলো। সেগুলো এখন বলতে চাচ্ছি না।
চবি উপাচার্য আরও বলেন, ওদের কয়েকজনের ব্যক্তিগত কিছু চাওয়া-পাওয়া ছিল। একটা দাবি পূরণ না হওয়ায় সিনিয়রদের প্রতি তাদের অবজ্ঞা তৈরি হয়েছে। এরপর তারা ‘দেখে নেবে’ বলেছিল। আমি জানিনা তারা কিভাবে, কি দেখে নেবে। নির্বাচনের আগে (সিন্ডিকেট নির্বাচন) আমি কোনো পদক্ষেপ নিইনি। নির্বাচনের পরে আমি তাদেরকে বলেছি, এখান থেকে পদত্যাগ করে তোমরা নিজেদের গবেষণায় সময় দাও। এরপর রবিউল এবং শহীদ (সাবেক প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টর) আমাকে লিখিত দিয়েছে তারা ১৫ তারিখ পদত্যাগ করবে।
তিনি বলেন, আমি অনেক দেখেছি। অনেককিছু সহ্য করেছি তাদের। তারা চলে যাক। আমি তাদের কল্যাণ কামনা করি। দু-একদিনের মধ্যেই আমি পূর্ণাঙ্গ প্রক্টরিয়াল বডি তৈরি করবো। সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী হবে। তিনমাস ধরে আমি এগুলো নিয়ে চিন্তা করছি। সবকিছু ঠিক করা আছে। ওরা পদত্যাগ করছে না বলেই এতদিন নতুন প্রক্টরিয়াল বডি দিতে পারছিলাম না।