মেস ম্যানেজার নির্বাচন নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি অবস্থানের মুখে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের প্রথম বর্ষের ছাত্রদের একটি ছাত্রাবাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটিতে অবস্থিত ‘হাফিজ উল্লাহ বশির ও লুৎফুস সালাম’ নামের ওই ছাত্রাবাসটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
চমেক ছাত্রলীগের একাংশের নেতাকর্মীরা জানান, ওই ছাত্রাবাসটিতে মেস ম্যানেজার নির্বাচন নিয়ে চাপা উত্তেজনা চলছিল। এ নিয়ে বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) ছাত্রদের মধ্য হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার এ ছাত্রাবাসটি পরির্শনে যান চমেক অধ্যক্ষ সাহেনা আক্তার।
ওই সময় দুপক্ষের মধ্য ফের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তাৎক্ষণিক ছাত্রাবাস বন্ধের নির্দেশ দেন অধ্যক্ষ সাহেনা আক্তার। তিনি জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত ছাত্রাবাস বন্ধ থাকবে। ততদিন শিক্ষার্থীরা ব্যক্তিগত ব্যবস্থায় থাকবে।
নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক এক ছাত্রলীগ নেতা বলেন, ‘যে ছাত্রাবাসটিতে ঝামেলা হয়েছে সেটিতে প্রথম বর্ষের ছাত্ররা থাকত। এ ঘটনার পর যে যার যার মতো চলে গেছেন। কিন্তু এর রেশ ধরে ক্যাম্পাসে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছে।’
জানা গেছে, দীর্ঘদিন চমেকে এককভাবে আধিপত্য বিস্তার করে আসছিল আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী ছাত্রলীগের গ্রুপটি। আ জ ম নাছির চমেক হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতিও ছিলেন দীর্ঘদিন। ২০২০ সালের ২০ আগস্ট এ পদে দায়িত্বে আসেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। তখন থেকে ধাপে ধাপে চমেক ক্যাম্পাসে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করে নওফেলের অনুসারী গ্রুপ। এরপর আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উভয় গ্রুপ কিছুদিন পরপর সংঘর্ষে জড়াতে থাকে এবং পাল্টাপাল্টি মামলাও হতে থাকে।