আল রাইয়ানের খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে বিরতিতে ২-১ গোলে জিতেছে সেনেগাল। প্রথমার্ধে দলকে এগিয়ে নেন ইসমাইলা সার। দ্বিতীয়ার্ধে মোইসেস কাইসেদু সমতা ফেরানোর পর ব্যবধান গড়ে দেওয়া গোলটি করেন সেনেগাল অধিনায়ক কালিদু কলিবালি।
দ্বিতীয়বারের মতো গ্রুপ পর্বের বৈতরণী পার হলো সেনেগাল। ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপে হলো রানার্সআপ। একই সময়ে শুরু হওয়া অন্য ম্যাচে কাতারকে ২-০ গোলে হারিয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ সেরা নেদারল্যান্ডস।
৪ পয়েন্ট নিয়ে তিনে থেকে বিদায় নিল একুয়ডের। তিন হারে শূন্য হাতে থামল স্বাগতিক কাতার।
বাঁচা-মরার লড়াইয়ে তৃতীয় মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় সেনেগাল। বিপজ্জনক জায়গা থেকে একটুর জন্য শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি ইদ্রিসা গানা গেই। ছয় মিনিট পর আরেকটি ভালো সুযোগ পায় তারা। কিন্তু পেনাল্টি স্পটের কাছ থেকে শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি বোলায়ে দিয়া।
৪৪তম মিনিটে সফল স্পট কিকে সেনেগালকে এগিয়ে নেন সার। পিয়েরো ইনকাপিয়ে এই ফরোয়ার্ডকে ফাউল করাতেই পেনাল্টি পেয়েছিল আফ্রিকার দলটি
প্রথমার্ধে গোলের জন্য ১২টি শট নেয় সেনেগাল, এর ৯টি ডি-বক্সের ভেতর থেকে। লক্ষ্যে থাকা চার শটের তিনটি ঠেকান গোলরক্ষক। একুয়েডর ডি-বক্সের বাইরে থেকে গোলের জন্য ২টা শট নেয়, এর কোনোটিই ছিল না লক্ষ্যে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে যেন পাল্টে যায় দুই দলের ভূমিকা। আক্রমণ করতে থাকে একুয়েডর, ঠেকিয়ে যেতে থাকে সেনেগাল। খুব বেশি যে সুযোগ তৈরি করতে পারছিল একুয়েডর, তা নয়।
তবে ৬৭তম মিনিটে সমতা ফেরায় লাতিন আমেরিকার দলটি। কর্নার থেকে গোলমুখে বল পেয়ে অনায়াসে বাকিটা সারেন কাইসেদো।
তাদের সমতা ফেরানোর খুশি টেকে মাত্র ২ মিনিট ৩০ সেকেন্ড। ফ্রি কিক থেকে কলিবালির চমৎকার গোলে এগিয়ে যায় সেনেগাল। ৬৭তম ম্যাচে এসে প্রথম আন্তর্জাতিক গোলের দেখা পেলেন চেলসির এই ডিফেন্ডার।
৭৬তম মিনিটে আনহেলো প্রেসিয়াদোর শট ঠেকান সেনেগাল গোলরক্ষক এদুয়ার্দো মঁদি। বাকি সময়ে গোলের জন্য মরিয়া ছিল একুয়েডর। কিন্তু আফ্রিকান চ্য্যাম্পিয়নদের রক্ষণ ভাঙতে পারেনি তারা।