দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। চলতি মৌসুমে এটি এখন পর্যন্ত সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে এ তথ্য জানান আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক।
তিনি জানান, মঙ্গলবার সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। ঢাকায় আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা-বাসস জানায়, উত্তর থেকে ধেয়ে আসা কনকনে ঠান্ডা বাতাসে তীব্র শীত অনুভুত হচ্ছে চুয়াডাঙ্গায়। শীত বেড়ে শুরু হয়েছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। তীব্র শীতের কারণে মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস কিন্তু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো খোলা আছে। শুধুমাত্র বন্ধ আছে শ্রেণী কার্যক্রম।
হিম শীতল বাতাসে জবুথুবু অবস্থা। চুয়াডাঙ্গা জেলার বিভিন্ন উপজেলায় খেটে খাওয়া মানুষেরা তীব্র শীতে চরম দুর্ভাগের শিকার হচ্ছেন। উত্তরের হিমেল বাতাস আর ঘন কুয়াশায় জনজীবন বিপর্যস্ত। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মতো কুয়াশা ঝড়ছে। দিন রাত বইছে হিমেল বাতাস। ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এখানকার জনজীবন। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন কৃষি শ্রমিকসহ খেটে খাওয়া ছিন্নমূল মানুষ।
কৃষি প্রধান জেলা চুয়াডাঙ্গায় বর্তমানে চলছে বোরো ধান রোপণের ভরা মৌসুম। তীব্র শীতকে উপক্ষা করে কৃষি শ্রমিকরা মাঠে ব্যাস্ত সময় পার করছেন। বীজতলা থেকে চারা সংগ্রহ এবং ঠান্ডা পানিতে দাঁড়িয়ে একের পর এক চারা রোপণ করছেন শ্রমিকরা। সময় মতো কাজে যেতে পারছেন না তারা। তীব্র ঠান্ডায় দেখা দিচ্ছে শীতজনিত নানা রোগ। হাসপাতালে বাড়ছে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা।
আজ মঙ্গলবাল সকাল ৭ টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাসের সময়সূচিতে পরিবর্তন এনেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে নামলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। আর ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা নামলে তা হয় মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। আর ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা হলো তীব্র শৈত্যপ্রবাহ।