অসাধারণ ফর্মে থাকা হ্যারি কেইন উপহার দিলেন জোড়া গোল, টানা জয়ের অনন্য কীর্তি গড়ল বায়ার্ন মিউনিখ।
ম্যাচের আধ ঘণ্টা যেতে না যেতেই পিছিয়ে পড়ল বায়ার্ন মিউনিখ। জেগে ওঠার জন্য এই ধাক্কাই হয়তো প্রয়োজন ছিল তাদের। সেই গোল শোধ করে দ্রুতই এগিয়ে গেল তারা। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা হ্যারি কেইন উপহার দিলেন জোড়া গোল। বড় জয়ে বায়ার্ন মিউনিখ পৌঁছে গেল অনন্য এক উচ্চতায়।
জার্মান কাপের দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচটিতে বুধবার কোলনকে ৪-১ হারায় বায়ার্ন মিউনিখ।
এই নিয়ে চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১৪ ম্যাচের সবকটি জিতল জার্মান ক্লাবটি। ফুটবল ইতিহাসে কোনো ক্লাবের জন্য মৌসুমের সেরা শুরুগুলোর একটি এটি।
শীর্ষ লিগগুলোর মধ্যে দারুণ এক কীর্তি হয়েই গেছে বায়ার্নের এই জয়ে। ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে এই প্রথম টানা ১৪ জয়ে মৌসুম শুরু করল কোনো দল।
১৯৯২-৯৩ মৌসুমে টানা ১৩ জয়ে আগের রেকর্ড ছিল এসি মিলানের, যে দলে খেলতেন ফ্র্যাঙ্কো বারেজি, পাওলো মালদিনি, ফ্রাঙ্ক রাইকার্ড, মার্কো ফন বাস্তেন, রুড খুলিতের মতো কিংবদন্তিরা।
ঘরের মাঠে কোলন এগিয়ে যায় ম্যাচের ৩১তম মিনিটে। পাঁচ মিনিট পরই বায়ার্নকে সমতায় ফেরান লুইস দিয়াস। যদিও রিপ্লেতে দেখা গেছে, পরিস্কার অফসাইড ছিলেন তিনি। তবে জার্মান কাপের ম্যাচে এই পর্যায়ে ভিএআর নেই। পরের দিকের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলোতে থাকবে ভিডিও রেফারির সহায়তা।
তিন মিনিট পর কেইনের দুর্দান্ত এক গোলে এগিয়ে যায় বায়ার্ন।
৫৩তম মিনিটে গোলকিপারকে একা পেয়েও ওপর দিয়ে মেরে দেন দিয়াস। ১১ মিনিট পর কর্নার থেকে হেডে গোল করে ব্যবধান বাড়ান কেইন।
চলতি মৌসুমে ১৪ ম্যাচেই ইংলিশ ফরোয়ার্ডের গোল হয়ে গেল ২২টি!
৭২তম মিনিটে বায়ার্নের চতুর্থ গোলটি করেন মাইকেল ওলিসে।
রেকর্ড গড়েই ক্ষান্ত নয় বায়ার্ন। ম্যাচের পর ডিফেন্ডার ইয়োনাথান টা বললেন, আরও
“আমরা সবসময় ক্ষুধার্ত ও সবসময় জিততে চাই। কখনোই সন্তুষ্ট নই। আজকে জিতে আমরা খুশি। তবে আগামী কাল থেকে মনোযোগ দেব পরের ম্যাচে।”
জয়ের এই ধারা ধরে রাখার পথে সামনেই অবশ্য দুটি কঠিন বাধা বায়ার্নের। শনিবার বুন্ডেসলিগার ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ বায়ার লেভারকুজেন, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে মঙ্গলবার তারা লড়বে পিএসজির মাঠে।








