পলাতক শীর্ষ সন্ত্রাসী তানভীর ইসলাম জয় মালয়েশিয়ায় মারা গেছেন। তিন দিন আগে তিনি সেখানে মারা যান বলে জানা গেছে। দীর্ঘদিন ধরে জয় কিডনি রোগে ভুগছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে তার বোন মালয়েশিয়ায় যাওয়ার পর জয়কে সেখানে দাফন করা হবে বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
উল্লেখ্য, তানভীর ইসলাম জয় ১৯৯০-এর দশকে বাংলাদেশে পুলিশি অভিযানের সময় হাওয়ায় মিলিয়ে যায়।
সুব্রত বাইন, মোল্লা মাসুদ এবং মুরগি মিলনের মতো পেশাদার অপরাধীদের নিয়েই ছিল তার সেভেন স্টার গ্রুপ।
ফাইভ-স্টার গ্রুপ এবং সেভেন-স্টার গ্রুপ নব্বইয়ের দশকে রাজধানী এবং এর আশেপাশের এলাকায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। এদের মধ্যে পিচ্চি হান্নান, কালা জাহাঙ্গীর এবং ডাকাত শহীদের নেতা ছিল জিসান আহমেদ। জিসান দুবাইয়ে গত বছর গ্রেপ্তার হয়।
জয় প্রথম গ্রেপ্তার হয়েছিল ১৯৯৯ সালে। প্রধানমন্ত্রীর ছেলে পরিচয় দিয়ে সে সাভার ইপিজেড এবং পাশের পর্যটনের এলাকা থেকে চাঁদা দাবি করত।
মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি এবং হাজারীবাগ অঞ্চলের ব্যবসায়ীদের রক্ত হিম করে দিতে জয়ের একটি ফোন কলই যথেষ্ট ছিল। তার লক্ষ্য থাকত মূলত ক্যাবল টিভি ব্যবসায়ী, রিয়েল এস্টেট দালাল এবং শপিং কমপ্লেক্সগুলো। এসবের মালিকদের কাছে থেকে হুমকি দিয়ে কয়েক লক্ষ থেকে শুরু করে কোটি টাকা পর্যন্ত চাঁদা চাওয়া হতো। চাঁদা দিতে বাধ্য করার জন্য তার লোকজনকে পাঠাতো ভয়ভীতি দেখাতে। কিন্তু, কেউ যদি টাকা না দিত তাহলে ঠাণ্ডা মাথায় তাকে হত্যা করা হতো।
এই দুই অপরাধ গ্যাং এতটাই ভয়ভীতি দেখানো শুরু করে সবাইকে যে শেষ পর্যন্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এদের ২৩ জনকে ২০০১ সালের ২৭ ডিসেম্বর মোস্ট ওয়ান্টেড অপরাধী ঘোষণা করে। এই দুই গ্যাংয়ের প্রধান জয় এবং জিসানকে ধরিয়ে দেওয়া বা তাদের ধরিয়ে দিতে সহায়ক তথ্য দিতে এক লাখ এবং ৫০ হাজার টাকার পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়।
এই ঘোষণার পরই তারা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যায় বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে প্রকাশ পায়।