গ্রাম বাংলার অতি পরিচিত একটি খাবার বা নাস্তার নাম বাংলা সেমাই। এক সময় মেহমানদের আপ্যায়নের অন্যতম আকর্ষণ ছিল এই বাংলা সেমাই। কালের বিবর্তনে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরে ঘরে নানা রকম খাবারের আয়োজন হলেও সেই বাংলা সেমাই এখন আর তেমন খাওয়া হয় না বললেই চলে। ডিজিটাল যুগে রকমারি খাবারের ভিড়ে বাংলা সেমাই পরিবেশন করতে তেমন দেখা যায় না। কিন্তু এ প্রথা এখনো চালু আছে মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফে।
সরেজমিনে ঈদের দিন গিয়ে দেখা যায়, ঈদের নামাজ শেষে মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফ গাউছিয়া হক মনজিলের ভাণ্ডার খানায় মেহমানদের আপ্যায়ন করা হচ্ছে বাংলা সেমাই দিয়ে। মেহেমানরাও আনন্দের সঙ্গে বাংলা সেমাই খাচ্ছে।
বাংলা সেমাই খেতে যাওয়া মেহমান হাজ্বী মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, ঈদের দিন বাংলা সেমাই খাওয়া গ্রামবাংলার ঐতিহ্য। তবে ঘরে ঘরে বাংলা সেমাই এখন দেওয়া হয় না। অতি আধুনিকতার ছোঁয়ায় তা হারিয়ে গেছে। কিন্তু মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফে এখনো এ প্রথা চালু রয়েছে।
সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম বলেন, বাংলা সেমাই খাওয়ার মজাটা আলাদা। তাই এ সেমাই খেতে এখানে ছুটে আসি।
গাউছিয়া হক মনজিলের কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন বলেন, আমাদের মনজিলে প্রতি বছর বাংলা সেমাই রান্না করা হয়। ঈদের দিন কয়েক হাজার মেহমানদের বাংলা সেমাই খাওয়ানো হয়।