বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৫, ৭ কার্তিক, ১৪৩২, ৩০ রবিউস সানি, ১৪৪৭

‘বিদেশি কূটনীতিকরা দেশের অগ্রগতি আরও ভালোভাবে জানতে আউটরিচ প্রোগ্রাম’

মুক্তি ৭১ ডেস্ক

বিদেশি কূটনীতিকরা যাতে দেশ ও দেশের অগ্রগতি সম্পর্কে আরও ভালোভাবে জানতে পারেন সেজন্যই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আউটরিচ প্রোগ্রাম বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি।

তিনি বলেন, কূটনীতিকদের এই পরিদর্শনের মাধ্যমে বাঙালি জাতির সামর্থ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যেই উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ চলছে তাতে আমাদের দেশকে তারা ভালোভাবে জানতে পারছে। বাংলাদেশকে জানার মাধ্যমে তারা তাদের দেশকে এই বার্তা পৌঁছে দেবে। এবং বাংলাদেশের এই খবরগুলো তারা বিশ্বময় ছড়িয়ে দেবে।

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এম্বেসেডরস আউট রিচ প্রোগ্রামের আওতায় ২৪টি দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার মিশন প্রধানসহ ৩৪ জন কূটনৈতিক সদস্যদের নিয়ে চট্টগ্রামের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন শেষে ট্রেনযোগে কক্সবাজার যাবার প্রাক্কালে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা যেন আমাদের দেশকে জানে, দেশে যে বিরাট উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ হচ্ছে সেগুলো যেন তারা স্বচক্ষে দেখে, সেই কারণেই তাদেরকে চট্টগ্রামে আনা হয়েছে। এবং চট্টগ্রাম থেকে ট্রেনযোগে তারা কক্সবাজার যাবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এম্বাসেডরস আউটরিচ প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে এই সফরের আয়োজন, এবং এটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি উদ্যোগ।

তিনি বলেন, আপনারা জানেন যে চট্টগ্রাম থেকে দোহাজারী পর্যন্ত ট্রেন লাইন হয়েছিল ১৯৩০ সালে। কিন্তু তার অনেক আগেই চট্টগ্রাম থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত ট্রেন লাইনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল ব্রিটিশ আমলে। অর্থাৎ ১৯০০ সালের পরপরই সেটির পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু দেশ বিভাগ হল, দেশ বিভাগের পর বাংলাদেশ হওয়ার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও পরিকল্পনা করেছিলেন, কিন্তু তিনিও বাস্তবায়ন করে যেতে পারেননি। কারণ তাকে সাড়ে তিন বছরের মাথায় হত্যা করা হয়েছিল। বরং তিনি বিধ্বস্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা পুরোপুরি ভাবে পুনর্গঠন করার আগেই তাকে হত্যা করা হয়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এই জনপদের মানুষ যেই স্বপ্ন ১২৫ বছর আগে দেখেছিল, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়েছে আজকে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা নেতৃতে। এটি একটি অসাধারণ কাজ। তাই আজকে আমরা কূটনীতিকদেরকে চট্টগ্রাম থেকে ট্রেনে করে কক্সবাজার নিয়ে যাচ্ছি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিজেও চট্টগ্রাম থেকে প্রথম ট্রেনে করে কক্সবাজার যাচ্ছেন উল্লেখ করে বলেন, তাদেরকে আনার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে তারা যেন বাংলাদেশকে জানে এবং চিনে, আমাদের দেশে যে দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত, এই সমুদ্র সৈকতের খবরটা যেন তাদের মাধ্যমে বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়ে। এবং বাংলাদেশের সৌন্দর্য ও উন্নয়ন সম্পর্কে তারা যেন ভালো করে জানতে পারে, সেজন্যই তাদেরকে আমরা নিয়ে এসেছি।

বিদেশী প্রতিনিধিদের সাথে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন বিষয়ে কোন কথাবার্তা হবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে তাদের সাথে তো কথাবার্তা আমাদের সবসময়ই হয়, এবং তারা অনেকেই রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গেছে। এবং এখনো যদি তারা সুযোগ পায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাবে।

বিদেশে প্রতিনিধিদের এই পরিদর্শনের মাধ্যমে তাদের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অবশ্যই তারা বাংলাদেশকে আরো ভালোভাবে জানতে পারবে, ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার সফরে এসেছে তারা। আজ চট্টগ্রামে কয়েক ঘন্টা কাটালো, কর্ণফুলি নদীর তলদেশ দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম রোড টানেল তারা দেখল। ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলংকাসহ দক্ষিণ এশিয়ার কোথাও নদীর তলদেশ দিয়ে রোড টানেল নেই। সেটি তারা দেখল, এপার থেকে ওপারে গিয়ে আবার ফিরে আসল। এই যে অসাধারণ উন্নয়ন, যেগুলো আজ থেকে ১৫/২০ বছর আগে মানুষ কল্পনাও করেনি, সেগুলো আজকে বাস্তব। এবং সেই বাস্তবতা আজকে কূটনীতিকরা নিজের চোখে দেখেছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন, রাশিয়া, চীন, কোরিয়া, ইতালি, ডেনমার্ক, কসভো, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, নেপাল, শ্রীলংকা, ভিয়েতনাম, ভ্যাটিকান, ভুটান, স্পেন, আর্জেন্টিনা, লিবিয়া, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, মিশর, ফ্রান্স এবং এফএও, আইইউটি, একেডিএন আন্তুর্জাতিক সংস্থাগুলোর ২৪ জন মিশন প্রধানসহ ৩৪ জন কূটনৈতিক সদস্য এই আউটরিচ কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন।

এসময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব মাসুদ বিন মোমেন উপস্থিত ছিলেন।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

শিক্ষা মন্ত্রণালয় অভিমুখে দাবি না মানলে বুধবার পদযাত্রা ঘোষণা

  অনুদানভুক্ত ও অনুদানবিহীন সব স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি সরকারের ঘোষিত পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণের ঘোষণার দ্রুত বাস্তবায়নসহ মোট পাঁচটি দাবি জানিয়েছে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী

বিস্তারিত »

ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার : চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র 

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, আমি চাই চট্টগ্রাম হোক একটি ক্লিন, গ্রিন, হেলদি এবং সেফ সিটি, যেখানে সব ধর্ম, বর্ণ ও

বিস্তারিত »

ভোটে এক লাখ সেনা মোতায়েন হবে

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীর ৯০ হাজার থেকে এক লাখ সদস্য মোতায়েন থাাকবে। সবচেয়ে বেশি থাকবে আনসার বাহিনী। আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর

বিস্তারিত »

অধ্যক্ষ শায়েস্তা খান আর নেই

শিক্ষাবিদ, ক্রীড়া সংগঠক প্রফেসর শায়েস্তা খান মৃত্যুবরণ করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন) । নগরের সার্জিস্কোপ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার (২০ অক্টোবর) ভোর পাঁচটায় তিনি

বিস্তারিত »

পুড়ল কয়েক হাজার কোটি টাকার আমদানি-রপ্তানি পণ্য, যাত্রী-স্বজনদের দুর্ভোগ

প্রায় ৭ ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে এসেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আমদানি কার্গো ভিলেজের আগুন। ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিটসহ অন্যান্য বাহিনীর অক্লান্ত চেষ্টায় রাত ৯টা

বিস্তারিত »

শ্রমিকদের কর্মবিরতিতে অচল চট্টগ্রাম বন্দর

প্রাইমমুভার ও সিঅ্যান্ডএফ শ্রমিকদের কর্মবিরতিতে অচল হয়ে পড়েছে চট্টগ্রাম বন্দর। বন্দর থেকে সব ধরনের পণ্য ও কনটেইনার আনা-নেওয়া বন্ধ রয়েছে। আজ রোববার (১৯ অক্টোবর) সকাল

বিস্তারিত »

চট্টগ্রামে পৌঁছেছে ওমানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৮ প্রবাসীর লাশ

ওমানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত আট প্রবাসীর মরদেহ দেশে পৌঁছেছে। বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে তাদের মরদেহ চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। গত শনিবার (১৮ অক্টোবর)

বিস্তারিত »

শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ থেকে এখনো ধোঁয়া বের হচ্ছে

ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে লাগা আগুন শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে আজ (১৯ অক্টোবর) দুপুর সোয়া ১২টা পর্যন্ত

বিস্তারিত »

ইপিজেডে কারখানায় ভয়াবহ আগুন

নগরের রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (সিইপিজেড) এলাকার আল হামিদ টেক্সটাইল নামে একটি পোশাক কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।  আজ নয়তলা ভবনের ওই কারখানায় প্রায় পাঁচ শতাধিক

বিস্তারিত »