দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম -২ (ফটিকছড়ি) আসনে ১৪২টি কেন্দ্রের মধ্যে ২২টিকে অধিক ঝু্ঁকিপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করেছে প্রশাসন। কম ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে চিন্তিত করা হয় ১০৮ টি এবং সাধারণ কেন্দ্র হিসেবে ধরা হয়েছে ১২টি। তবে এসব কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হলেও নিরাপত্তায় কোনো সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছেন সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক চৌধুরী।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) গণমাধ্যমকে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে উপজেলার সবগুলো কেন্দ্র পরিদর্শন করা হয়েছে। ঝুঁকি বিবেচনা করে কেন্দ্রগুলোতে পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলাবাহিনী মোতায়েন থাকবে। নির্বাচনী এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রয়োজন মনে হলে রিটার্নিং অফিসারের পরিকল্পনা অনুযায়ী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ও র্যাব টহলে থাকবে।
মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ইতোমধ্যে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মোহাম্মদ জোনাইদের নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উপজেলার ফটিকছড়ি পৌরসভা, বক্তপুর, জাফতনগর, সমিতিরহাট, আবদুল্লাহপুর, নানুপুর, লেলাং, সুন্দরপুর, ধর্মপুর ও রোসাংগিরি ইউনিয়নে এবং
জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারদিন মুস্তাকিম তাসিনের নেতৃত্ব নাজিরহাট পৌরসভা ও বক্তপুর, জাফতনগর, সমিতিরহাট, আবদুল্লাহপুর, নানুপুর, লেলাং, সুন্দরপুর, ধর্মপুর ও রোসাংগিরি এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী টহল দিচ্ছে।
এছাড়া নির্বাচনে আইনশৃংঙ্খলা রক্ষায় নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা বেষ্টনি থাকবে। পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা মাঠে থাকবে ।
ইউএনও অফিস সূত্র জানিয়েছে, নির্বাচনের দিন প্রতি ২ ইউনিয়নে ১ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও শুধু মাত্র বাগানবাজার ১ ইউনিয়নে ১ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে বিজিবি সদস্যরা, স্ট্রাইকিং ও রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
তবে নির্বাচনী এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রয়োজন মনে হলে রিটার্নিং অফিসারের পরিকল্পনা অনুযায়ী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ও র্যাব টহলে থাকবে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ২ জন আনসার এবং ৮ জন পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে।
এবার ফটিকছড়ি আসনে মোট ৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তার মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী খাদিজাতুল আনোয়ার সনি (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী হোসাইন মো. আবু তৈয়ব (তরমুজ) এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমেদ মাইজভান্ডারী (একতারা) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এ আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৫৬ হাজার ৭শত ৫৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৩৬ হাজার ২৫৬ জন, নারী ভোটার ২ লাখ ২০ হাজার ৫০০ জন।