সম্প্রতি প্রথমবারের মতো অভিনয় করতে বাংলাদেশে এসেছিলেন ওপার বাংলার অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তিনি অভিনয় না করেই উল্টো আলোচনার ঝড় তুলে ফিরে গেছেন কলকাতায় ।
এই নায়িকা অভিযোগ করে বলেন, প্রযোজকের অপেশাদারি আচরণের কারণে সিনেমার শুটিংয়ে ভালো অভিজ্ঞতা হয়নি তার। যে কারণে তাকে শুটিং শেষ না করেই কলকাতায় ফিরে যেতে হয়েছে।
এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভারতের একটি সংবাদমাধ্যম নিউজ এইটিনের সঙ্গে কথা বলেছেন সায়ন্তিকা। এই অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি বাংলাদেশে যাওয়ার পর থেকে প্রযোজকের সঙ্গে বহু বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি। ৫০ থেকে ৭০ বার ফোন করেছি। কিন্তু উনি কোনও কথা বলেননি। কেন এমনটা করেছেন সেটা জানি না!’
সায়ন্তিকা বলেন, ‘একটি সিনেমায় কাজ করতে গেলে আগে পরিকল্পনা ঠিক করে করতে হয়। এক্ষেত্রে সেটির অভাব ছিল। শুটিংয়েও যার প্রভাব পড়েছিল। আমি দর্শককে হতাশ করতে চাই না। তাই এই বিষয়গুলি মিটিয়ে নিতে চাই।’
সায়ন্তিকার এমন অভিযোগের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করে প্রযোজক মনিরুল ইসলাম দাবি করেন, নৃত্য পরিচালকের সঙ্গে খারাপ আচারণ করেছেন এই অভিনেত্রী। পাশাপাশি সায়ন্তিকা ও সিনেমার নায়ক জায়েদ খান শিডিউল অনুযায়ী সেটে উপস্থিত হতেন না, হোটেলে বেশি সময় কাটাতেন বলেও অভিযোগ করেন।
জায়েদ খানের সঙ্গে হোটেলে সময় কাটানো প্রসঙ্গে সায়ন্তিকার ভাষ্য, ‘কে আমাকে নিয়ে কী বলছে, তা নিয়ে আমি সত্যিই ভাবতে চাই নই। কোনও সাফাই দেওয়ারও প্রয়োজন মনে করি না। কারণ আমি জানি সত্যিটা কী। আর নায়ক-নায়িকা যদি ঘণ্টার পর ঘণ্টাও হোটেলে বসে থাকে, সেখানে সমস্যা কোথায়?’
প্রসঙ্গত, তাজু কামরুলের পরিচালনায় ‘ছায়াবাজ’ সিনেমায় জায়েদ খানের সঙ্গে প্রথমবারের মতো জুটি বেঁধে কাজ করছেন সায়ন্তিকা। এই সিনেমার শুটিং চলাকালীনই ‘টাইগার’ নামের আরও একটি ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হন এ জুটি।