চলতি মৌসুমে হজ প্যাকেজের খরচ বেশি হওয়ায় সব মহলে ব্যাপক সমালোচনা তৈরি হয়। এর মধ্যে গত বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) হজ প্যাকেজের মূল্য ১১ হাজার ৭২৫ টাকা কমানোর ঘোষণা দেয় ধর্ম মন্ত্রণালয়। এরপরও হজে যেতে ইচ্ছুকদের কাঙ্ক্ষিত সাড়া মিলছে না। পঞ্চম দফায় সময় বাড়ানোর পর গত তিনদিনে নিবন্ধন করেছেন মাত্র ৪৯৮ জন। কোটা পূরণে বাকি দুই দিনে ১১ হাজার ১০৬ জন নিবন্ধন করবেন কি না, তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, পঞ্চম দফায় নিবন্ধনের সময় আগামী ২৭ মার্চ পর্যন্ত করার পরও কাঙ্ক্ষিত সাড়া মিলছে না। এ প্রতিবেদন (২৫ মার্চ) লেখা পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারিতে এখনো নিবন্ধন ফাঁকা রয়েছে ১১ হাজার ১০৬ জনের। এর মধ্যে সরকারিতে ফাঁকা ৫ হাজার ১৪৮ জন, বেসরকারিতে ফাঁকা ৫ হাজার ৯৫৮ জন।
গত বৃহস্পতিবার হজযাত্রীদের খরচ ১১ হাজার ২৭৫ টাকা কমিয়ে দেয় সৌদি সরকার। যারা এরইমধ্যে নিবন্ধন করে ফেলেছেন, তাদের খাবারের টাকার সঙ্গে এই পরিমাণ টাকা ফেরত দেওয়া হবে।
কর্মকর্তারা বলছেন, বেসরকারি নিবন্ধনের সংখ্যা ধীরে-ধীরে বাড়লেও সরকারি নিবন্ধনের সংখ্যা নিতান্তই কম। গত এক সপ্তাহে সরকারিভাবে নিবন্ধন করেছেন মাত্র ১৬৬ জন হজযাত্রী।
তারা বলছেন, এবার হজের খরচ বেশি হওয়ায় শুরু থেকেই নিবন্ধনে ভাটা লক্ষ্য করছি। আমরা তো কাউকে ডেকে এনে নিবন্ধন করাতে পারি না। গত বৃহস্পতিবার প্রায় ৭ হাজারের বেশি নিবন্ধন করেছিল। আশা করছি আগামী সোমবার (২৭ মার্চ) শেষ দিনে নির্ধারিত কোটা পূরণ হয়ে যাবে।
‘হজযাত্রীদের আশা ছিল হাইকোর্ট, ধর্ম মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মহলের চাপে বিমান ভাড়া হয়তো কমবে। কিন্তু গত সপ্তাহে বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ভাড়া কমানো বা সমন্বয় করার কোনো সুযোগ নেই।’
নিবন্ধনের সময় বাড়ানো সম্ভব হবে না জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মতিউল ইসলাম বলেন, সৌদিতে বাড়ি ভাড়া করতে হবে। এছাড়াও হজযাত্রীদের ভিসা, প্রশিক্ষণসহ অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে হবে। তিনি বলেন, আগের বছরের অভিজ্ঞতা থেকে আমরা দেখেছি একদম শেষ সময়ে বেশি নিবন্ধন করেন হ্জযাত্রীরা। এজেন্সিগুলো অপেক্ষায় থাকে শেষ সময়ে সর্বোচ্চ বাড়ি ভাড়ার রেট দেখে নিবন্ধন করতে।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছরের ২৭ জুন (৯ জিলহ্জ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। সৌদি আরবের সঙ্গে হজচুক্তি অনুযায়ী, এবার বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার জন ও অবশিষ্ট এক লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করার সুযোগ পাবেন।