আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জাতীয় সংসদের উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, এক সময় হেনরি কিসিঞ্জার বাংলাদেশকে বটমলেস বাস্কেট বলেছিলেন। আজ সেই হেনরি কিসিঞ্জারই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শান্তির পুরস্কার দিচ্ছেন।
তিনি বলেন, একেই বলে প্রকৃতির প্রতিশোধ। স্যুটকোট পরেন, আর ফটর ফটর ইংরেজি বলেন দেখে অপমান করার অধিকার আপনাদের কে দিয়েছে। আমরা তখন ছিলাম আপনাদের অন্ন-দাস। খাবারের জন্য হাত পাততাম তো। কিন্তু এখন আপনাদেরও চলে না, আর আমরাও এখন আর হাত পেতে নিই না। এই হলো বাস্তবতা।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে আয়োজিত ‘এলডিসি হতে উত্তরণে বাংলাদেশের কৃষি: অর্জন, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক বি এস টি নাগরিক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সংলাপের আয়োজন করে বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্ট।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, আমরা বিভিন্ন সময় দেখতে পাই, দেশের প্রতিটি সেক্টরের লোকজন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তাদের সুখ-দুঃখ ও অভাব অনটনের কথা বলে। এর মাধ্যমে তারা যে তাদের বুক হালকা করে শুধু তাই নয়, তাদের সমস্যাগুলোরও প্রতিকার পায়। বাংলাদেশের যে উত্তরণ, তারই জাদুকর বা সোনার কাঠি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগে খাদ্য আমদানি করতে হতো। আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের আগে দেশের জনসংখ্যা কম ছিল এবং জমির পরিমাণ বেশি ছিল। তখন খাদ্য আমদানি করতে হতো। তখন বাংলাদেশের খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ছিল না। অনেক চুলচেরা হিসেবের পর আমরা এ স্বীকৃতি অর্জন করেছি। এর পেছনে অবদান আছে আমাদের কৃষক, কৃষি বিজ্ঞানী, জনগণ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।
তিনি বলেন, আমরা সাধারণত দানাদার খাদ্যের হিসাব করি। কিন্তু এই দানাদার খাদ্যের পাশাপাশি দেশে শাকসবজি এবং ফলমূলের উৎপাদন আগের থেকে অনেক গুণ বেড়েছে। বাংলাদেশে ভুট্টা চাষ হবে অতীতে তা অকল্পনীয় ছিল। ষাটের দশকে ভুট্টা নিয়ে অনেক রকমের উত্তেজনা ছিল। সেসময় আমরা ভুট্টা নিয়ে অনেক স্লোগানও দিয়েছি। আজ ভুট্টা দিয়ে তৈরি সাদা আটার যে ব্যাপক ব্যবহার, তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়েই হয়েছে।
মতিয়া বলেন, এটা সত্য বাংলাদেশ তেল উৎপাদনে বাংলাদেশ খুবই পিছিয়ে আছে। তবে আমি মনে করি আমাদের জায়গা থাকলে আমরা ঠিকই পারতাম।
সংলাপে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্টের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ। সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্টের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রফেসর ড. মাহবুবুর রহমান লিটু।
কি-নোট উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনৈতিক বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সাহাদাত হোসেন সিদ্দিকী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্ট এর সাধারণ সম্পাদক টি এইচ এম জাহাঙ্গীর।
প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু গবেষণা সংসদ সভাপতি প্রফেসর ড. উত্তম কুমার বড়ুয়া, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রথম সচিব ড. মো নেয়ামুল ইসলাম প্রমুখ।