সময় চলে যাচ্ছে। স্বাধীনতার পর অর্ধশত বছর ইতিমধ্যে পেরিয়ে গেছে। এদেশ সব সময় স্বাধীন ছিলো না; পরাধীন দেশকে স্বাধীন করার জন্য এদেশে একদিন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিলো, সেটা বুঝানোর জন্য হয়তো কিছুদিন পরে সাক্ষ্যের প্রয়োজন হবে। সাক্ষ্য যারা দেবেন, মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যক্ষদর্শী জনগণ, তাদের দিনও শেষ হয়ে যাচ্ছে। তাঁদের গড় বয়স এখন ষাটোর্ধ-কারো সত্তর, কারো পঁচাত্তর, কারো আশি, কিংবা তারও বেশি। এই প্রজন্ম গত হয়ে গেলে মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য দেয়ার মত আর কেউ থাকবে না। সেজন্য আমাদের সেক্টর কমান্ডার মেজর রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম একবার চট্টগ্রামে বিজয় মেলায় ভাষণ দিতে এসে বলেছিলেন, মুক্তিযুদ্ধেকে ধরে রাখার জন্য কোন উদ্যোগ নেয়া না হলে মুক্তিযুদ্ধ একদিন রূপকথার কল্প-কাহিনী বা গল্প হয়ে যেতে পারে। সেই সময় সমুপস্থিত।
মুক্তিযুদ্ধকে ধরে রাখার জন্য মেজর রফিক একটি জাদুঘর প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনের কথা বলেছিলেন। ‘লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে’ শিরোনামে তাঁর যে যুদ্ধদিনের স্মৃতিকথা বাজারে পাওয়া যায়, সে নামেই তিনি ঢাকায় একটি ট্রাস্ট গঠন করে জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন। তাঁর উদ্যোগের সঙ্গে সম্ভবত সাংবাদিক ফয়েজ আহমদ, সেক্টর কমান্ডার মেজর আবু ওসমান চৌধুরী, লে. কর্নেল কাজী নুরুজ্জামান-এঁরা জড়িত ছিলেন। যে কোন কারণে হোক, তাঁর সে উদ্যোগ সফল হয়নি। পরে আমি চট্টগ্রাম থেকে একটি মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করি, তিনি খুশি হয়ে বলেছিলেন, করুন, এটা খুব প্রয়োজন। আপনারা যখন শুরু করবেন আমাকে বলবেন, আমি প্রথমেই আমার সার্ভিস রিভলভারটা দেবো, সেটা দিয়ে আপনারা মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর আরম্ভ করতে পারবেন। আমাদের মিটিংয়েও তিনি আসতে চেয়েছিলেন। জাদুঘর প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমরা বেশ কয়েকটি সভা করেছিলাম। আমরা সিআরবি পাহাড়ের রেলওয়ে কাঠের বাংলো- যেখান থেকে মেজর রফিক বাংলাদেশে সবার আগে মুক্তিযুদ্ধ আরম্ভ করেছিলেন- সেই কাঠের বাংলোটিতে আমরা মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের স্থান নির্বাচন করেছিলাম।
আমাদের সর্বশেষ সভাটি হওয়ার কথা ছিলো চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে। সেই সভায় যোগ দেয়ার জন্য ঢাকা থেকে আসার কথা ছিলো সাবেক সেনা প্রধান জেনারেল হারুন-আর রশীদ বীর প্রতীক, ইঞ্জিনিয়ার আফছার উদ্দিন আহমদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক চেয়ারম্যান জালালউদ্দিন আহমদ প্রমুখের। জেনারেল হারুন শেষ পর্যন্ত আসেননি। ইঞ্জিনিয়ার আফছার এসেছিলেন। জালাল সাহেব আসার পথে রূপগঞ্জে তাঁর গাড়ি দুর্ঘটনায় পতিত হলে তিনি মর্মান্তিক মৃত্যুবরণ করেন। আমাদের সভা শোকসভায় পরিণত হয়। জালাল ভাই’র জন্য আজো আমার দুঃখ হয়।
আমাদের উদ্যোগের সঙ্গে প্রফেসর ড. অনুপম সেন (উপাচার্য), ড. আবু ইউসুফ (সাবেক উপাচার্য), অ্যাডভোকেট এ কে এম এমদাদুল ইসলাম (প্রয়াত), মঈনুদ্দিন খান বাদল (প্রয়াত-সাবেক এমপি), ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী (সাবেক উপাচার্য), ডা. মাহফুজুর রহমান, কাজী ইনামুল হক দানু (প্রয়াত), ডা. এবিএম জাফরুল্লাহ, মোহাম্মদ হারিছ, ডা. এ কিউ এম অহিদুল আলম, অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত, ইন্দুনন্দন দত্ত, ফাহিমউদ্দিন, আনোয়ারুল আজিম, ডা. আবু ইউসুফ চৌধুরী, নুরুল আলম মন্টু, ডা. এ কিউ এম সিরাজুল ইসলাম, কৃষ্ণ প্রসাদ বড়ুয়া (প্রয়াত),আ.হ.ম. নাসির উদ্দিন, অধ্যাপক মোহাম্মদ মইনুদ্দিন, রইসুল হক বাহার (প্রয়াত), আবুল কালাম আজাদ (সদ্য প্রয়াত), পংকজ দস্তিদার, প্রদীপ বড়ুয়া, প্রদীপ দেওয়ানজী, সুশীল বড়ুয়া, সুযশময় চৌধুরী, সিরাজুল ইসলাম রাজু, ইমতিয়াজউদ্দিন পাশা, আহমেদ ইকবাল হায়দার, সিরু বাঙালি, নেছার আহমদ, শফিক আদনান, কিরণলাল আচার্য, দীপংকর চৌধুরী কাজল, ফারুক আহমদ, তৌহিদুল আনোয়ার সহ অনেকেই জড়িত ছিলেন। এতদিন পরে সবার নাম মনে করতে পারছি না। কারো নাম বাদ পড়লে ক্ষমা করবেন।
মেজর রফিক পরে মুক্তিযুদ্ধকে সেলুলয়েডের ফিতায় বন্দি করে রাখার জন্য একটি সিনেমা তৈরি করতে চেয়েছিলেন। সেজন্য তিনি হলিউডের সঙ্গে যোগাযোগও করেছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধের আঁতুরঘরে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর হলো না-এর চেয়ে পরিতাপের বিষয় আর কি হতে পারে। অথচ চট্টগ্রামের পরে উদ্যোগ নিয়ে ঢাকায় হয়ে গেল। সেগুনবাগিচার একটি ভাড়া করা অপরিসর জায়গায় কী সাদামাটাভাবেই না শুরু হয়েছিলো ঢাকার সেই মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। আজ আগারগাঁওয়ের বিপুল পরিসরে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের রাজসিক অধিষ্ঠান দেখে গর্বে, পুলকে বুক ভরে ওঠে।
অভিজ্ঞতা থেকে যা না শিক্ষা পেলাম তা হলো এই- প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতা ছাড়া মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রতিষ্ঠার যেকোন উদ্যোগ ব্যর্থ হয়ে যেতে বাধ্য। চট্টগ্রামে সরকার নেই, সচিবালয় নেই; প্রেসিডেন্ট, প্রাইম মিনিস্টার, মিনিস্টার নেই। আমাদের আছে সবেধন নীলমণি একটি সিটি কর্পোরেশন এবং একজন সিটি মেয়র।
সুখের বিষয়, আমাদের মেয়র জনাব রেজাউল করিম চৌধুরী একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযোদ্ধাদের দৃঢ় বিশ্বাস এবং আকুল প্রত্যাশা যে, তিনি মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর নির্মাণের জন্য বহুদিনের প্রত্যাশিত কাজটি করতে ফলপ্রসূ উদ্যোগ নেবেন। ইতিহাস হয়তো তাঁকে দিয়ে এই কাজটি করিয়ে নেয়ার জন্য এতদিন অপেক্ষা করে আছে। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রতিষ্ঠার বিষয় নিয়ে প্রফেসর ড. মুনতাসীর মামুনের সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে আমার অনেক কথা হয়েছে। তিনিও একবার চট্টগ্রাম এসেছিলেন এ বিষয়ে আমাদের এক সভায় যোগদানের জন্য।
মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে সমস্যাটা হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী এবং যারা মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাস করেন না, তাঁরাও এখন মুক্তিযুদ্ধের কথা বলেন। কারণ প্রকাশ্যে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করার কোনো উপায় নেই। কিন্তু এমন অনেক মানুষ আছেন যাঁরা গোপনে মুক্তিযুদ্ধের কথা উঠলে নাক সিটকান, মুক্তিযোদ্ধাদের গালমন্দ করতে পারলে অনেকের ধড়ে পানি আসে। যারা রাজাকার, আলবদর, আল শামস বাহিনীতে নাম লিখিয়ে প্রত্যক্ষভাবে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিলো, তাদের অনেকে ইতিমধ্যে যমালয়ে পাড়ি জমিয়েছে; কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের পরে গত পঞ্চাশ বছরে যাদের জন্ম, তাঁদের মধ্যে এমন অনেকে আছেন যারা মানসিকভাবে রাজাকার, আলবদর, আল শামস বাহিনীর সদস্যদের চেয়ে কম কিছু নয়। ড. মুনতাসীর মামুনের কথা ধার করে বলছি- কোন কোন মুক্তিযোদ্ধাও কি রাজাকার হয়ে যাননি। ড. মামুন বলেছেন, একবার কেউ রাজাকার হলে সে সারাজীবন রাজাকারই থাকে। কিছু কিছু মুক্তিযোদ্ধা রাজাকার হয়ে গেছেন, এটাই এদেশ ও এ জাতির জন্য বড় দুর্ভাগ্য।
১৯৩০ সালে মাস্টারদা সূর্যসেন চট্টগ্রামে ব্রিটিশের অস্ত্রাগার আক্রমণ ও দখল করে স্বাধীনতা ঘোষণা করলে চট্টগ্রাম ‘বিপ্লবতীর্থ’ আখ্যা পেয়েছিলো। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাত ৮-৪৫টায় ইপিআর-এর অ্যাডজুট্যান্ট ক্যাপ্টেন (পরবর্তীকালে মেজর রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম, বঙ্গবন্ধু কন্যার ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদকালীন কেবিনেটের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, বর্তমানে এমপি) রফিকুল ইসলাম হালিশহরে ইপিআর সেক্টর হেডকোয়ার্টার আক্রমণ ও দখল করে মুক্তিযুদ্ধের সূচনা করে চট্টগ্রামকে আরেকবার ‘বিপ্লবতীর্থ’ হিসেবে প্রমাণ করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সূচনাকারী হিসেবে চট্টগ্রামের এই কৃতিত্বপূর্ণ স্মৃতি সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হবে, এটা চট্টগ্রামবাসীর বহুদিনের প্রত্যাশা। কিন্তু অতীতে কোন মেয়র এই প্রয়োজনীয় কাজটি সম্পাদনের জন্য কোনো উদ্যোগ নেননি।
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য প্রথমে একটাই কাজ করা দরকার। সেটা হচ্ছে একটি মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর স্থাপন করা। এই কাজ শুরু করার জন্য চট্টগ্রামে জায়গার অভাব নেই। মেয়র মহোদয়কে সহযোগিতা করার জন্য চট্টগ্রামের ভূ-প্রকৃতি প্রস্তুত হয়ে বসে আছে। উদাহরণস্বরূপ সিআরবি পাহাড়ের সেই কাঠের বাংলো যার কথা ইতিমধ্যে বলেছি, সে বাংলোর কথাই বলি। এই বাংলোটির কথা আমি বহুদিন ধরে বলে আসছি। মেজর রফিক ৭১-এর ২৫ মার্চ বিদ্রোহ করে এই বাংলোতে তাঁর কৌশলগত সদর দপ্তর স্থাপন করেছিলেন। নব্বইয়ের দশকের প্রথম দিকে তিনি তাঁর নাতিকে নিয়ে তাঁর শ্বশুরবাড়ি চট্টগ্রামে বেড়াতে এসে মুক্তিযোদ্ধা ও কলামিস্ট ইদরিস আলম এবং আমাকে নিয়ে কাঠের বাংলোটি দেখতে গিয়েছিলেন। কাঠের বাংলোটি এখন একটি ঐতিহাসিক স্থান। মেয়র মহোদয় দাপ্তরিক চিঠি চালাচালি ও কথাবার্তা বলে রেলের কাঠের বাংলোটিতে চট্টগ্রাম মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর স্থাপনের উদ্যোগ নিতে পারেন। চট্টগ্রামের সন্তান রাউজানের মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী বর্তমানে রেল মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি। রেলের কাঠের বাংলোতে জাদুঘর প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে তাঁর সাহায্য নেওয়া যেতে পারে।
মাননীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক সাহেব কোথাও এমন কথা বলেছেন বলে আমি শুনেছি যে, কাট্টলীতে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর নির্মাণের জন্য জায়গা বাছাই করে দেখা হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত সিআরবির কাঠের বাংলো বর্তমান থাকতে কাট্টলীতে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর নির্মাণের জায়গা খোঁজার কোন যৌক্তিকতা থাকতে পারে না। ঐতিহাসিক কারণে কাঠের বাংলোর গুরুত্ব বেশি। আশা করি মেয়র মহোদয় চট্টগ্রাম মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়ে ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করবেন।
মেয়রের সামনে ইতিহাসের হাতছানি-ইতিহাসের ডাকে তিনি সাড়া দেবেন কিনা সেটা তাঁকেই নির্ণয় করতে হবে। তিনি ইচ্ছে করলে একটি অক্ষয় কীর্তি স্থাপন করে ইতিহাসে ঠাঁই করে নিতে পারেন। বলাবাহুল্য, সে কীর্তি হলো মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। চট্টগ্রাম পৌরসভার ১৫৯ বছরের (২০২২-১৮৬৩=১৫৯) ইতিহাসে বহু চেয়ারম্যান এসেছেন, গেছেন, পৌরসভা পৌর কর্পোরেশন হয়ে সিটি কর্পোরেশনে উন্নীত হয়েছে, চেয়ারম্যান থেকে প্রশাসক এবং সর্বশেষ মেয়র হয়েছেন। কিন্তু আমার ধারণা, একমাত্র নূর আহমদ চেয়ারম্যান ছাড়া আর কোন চেয়ারম্যান, প্রশাসক বা মেয়র বেঁচে থাকবেন না। বাধ্যতামূলক অবৈতনিক প্রাথমিক শিক্ষা জনাব নূর আহমদ চেয়ারম্যান যেটা চট্টগ্রাম পৌরসভায় চালু করেছেন, সেটাই তাঁকে বাঁচিয়ে রাখবে। ইতিহাস আজ বর্তমান মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর সামনে যে সুযোগ উপস্থিত করেছে, তিনি যদি এই সুযোগ গ্রহণ করে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর নির্মাণ করেন, তাহলে তিনি ইতিহাসে স্থায়ী আসন করে নেবেন। নূর আহমদ চেয়ারম্যানের মতো আরেকটা কীর্তি স্থাপন করে তিনি তাঁর পাশে ঠাঁই করে নেবেন।
চট্টগ্রাম শহরে অনেক প্রাচীন কীর্তির ধ্বংসাবশেষ, প্রাচীন স্থান বা স্থাপনা দেখা যায়, যেগুলির ঐতিহাসিক মূল্য অপরিসীম। প্রাচীন রাজ্য, রাজ্যপাট, ধ্বংসপ্রায় বাড়িঘর, মসজিদ, মন্দির, গির্জা, পুকুর, দিঘি হয়তো কালের ভ্রুকুটি উপেক্ষা করে কোথাও ভগ্ন অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছে। সেইসব ঐতিহাসিক কীর্তি, প্রত্নসম্পদ এখনো রক্ষার উদ্যোগ নিলে হয়তো বিলীয়মান ইতিহাস রক্ষা পাবে। মাননীয় মেয়র একটি জরিপ চালিয়ে চট্টগ্রামের প্রাচীন কীর্তি, প্রত্ন সম্পদ, ঐতিহাসিক নিদর্শনের তালিকা তৈরি করতে পারেন।
লেখক : সাংবাদিক, মুক্তিযোদ্ধা, সংস্কৃতি সংগঠক।