দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষে (উপজেলা ও সিটি কর্পোরেশন আংশিক) ১৪৬টি ভোট কেন্দ্রের বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এতে লাঙ্গল প্রতীকে ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ পেয়েছেন ৫০,৯৭৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী কেটলি প্রতীকে শাহজাহান চৌধুরী পেয়েছেন ৩৬,২৫১ ভোট। এই নিয়ে সপ্তম বারের মত সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বিজয়ী হয়েছেন।
নির্বাচনে বাতিল ভোট ১৬০৬ সহ সর্বমোট ভোট সংগ্রহ হয়েছে ৯৭৫৭৮টি। যা মোট ভোটের ২০.৫৫%।
প্রতিদ্বন্দ্বী অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্যে তৃণমূল বিএনপি থেকে ভিপি নাজিম সোনালী আশঁ প্রতীকে ১৪০১ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী উত্তর জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি নাসির হায়দার করিম বাবুলের ঈগল প্রতীকে ৪৮০ ভোট, ইসলামিক ফ্রন্টের এডভোকেট সৈয়দ মুক্তার আহমদ সিদ্দিকীর মোমবাতি প্রতীকে ৬৮৪১ ভোট, ইসলামিক ফ্রন্ট হাফেজ আহমদ চেয়ার প্রতীকে ৬৯১ ভোট, সুপ্রিম পার্টির কাজী মহসিন চৌধুরী একতারা প্রতীকে ৮৭২ভোট, বিএনএফ পার্টির আবু মোহাম্মাদ শামসুদ্দিন টেলিভিশন প্রতীকে পেয়েছেন ৬৫ ভোট।
হাটহাজারী উপজেলার একটি পৌরসভা, ১৪টি ইউনিয়ন ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ১ ও ২ নং ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত চট্টগ্রাম-৫ আসনের ১৪৬ কেন্দ্রের ১ হাজার ৬১ কক্ষে ভোটার ছিল ৪ লাখ ৭৫ হাজার ৭শ ১৩ জন।
কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়া নারী-পুরুষ ভোটারগণ সুশৃংখলভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে নিজ নিজ পছন্দের প্রার্থীকে ভোট প্রদান করেছেন ।
তবে এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হাটহাজারী উপজেলায় তেমন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। ভোটের আমেজও ছিল উৎসব মুখর। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। তবে সকাল বেলা ভোট কেন্দ্রে ভোটার তেমন উপস্থিতি ছিল না। ভোটাররা কেন্দ্রে ভোট দিতে যেতে শঙ্কা ছিল। কিন্তু সেটিকে পিছনে ফেলে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট কেন্দ্রে ভোটাররা পছন্দের প্রার্থীকে ভোট প্রয়োগ করেছে।
চট্টগ্রাম-৫ এর ২৮২ সংসদীয় আসনের সহকারী রিটানিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার কতৃর্ক ঘোষিত বেসরকারী ফলাফলে ৫০,৯৭৭ ভোট পেয়ে লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ সপ্তম বারের মত জয়লাভ করেছে।
এর আগে রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে উপজেলার ১৪৬টি কেন্দ্রে একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটের দিকে উত্তর ছাদেক নগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লাঙ্গল প্রতীকে নিজের ভোট প্রদান করেন ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। প্রতিবারের মত এবারও ভোট কেন্দ্রে পুরুষের তুলনায় নারীর উপস্থিতি বেশি দেখা গেছে। তবে সকালে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটারের উপস্থিতিও বাড়তে থাকে।
ভোট গ্রহণের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত উপজেলার কোথাও কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ও অনিয়মের খবর পাওয়া যায়নি। বিকাল চারটায় ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর শুরু হয় ভোট গননা।
এদিকে সহকারী রিটানিং অফিসারের কার্যালয়ে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। বিকাল ৫টার পর থেকে একের পর এক আসতে শুরু করে বিভিন্ন কেন্দ্রের ফলাফল।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটানিং অফিসার বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত ভোটের ফলাফল ঘোষণা করে। সর্বশেষ মোট ১৪৬টি কেন্দ্রে প্রাপ্ত ভোটে মোট ৫০৯৭৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাহান চৌধুরী কেটলি প্রতীকে পেয়েছেন ৩৬২৫১ ভোট।