রবিবার, ৮ জুন, ২০২৫, ২৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২, ১১ জিলহজ, ১৪৪৬

চট্টগ্রাম ডুবছে জলজটে—

এ আমার পাপ তোমার পাপ

নাসিরুদ্দিন চৌধুরী

চারদিন ধরে চট্টগ্রাম মহানগর পানিতে ডুবে আছে। অবিরাম বৃষ্টিতে মাঠ-ঘাট, খাল-বিল, নদী-নালা, এমনকি রাস্তাঘাটও ভাসিয়ে পানি থৈ থৈ করছে। এমন পরিস্থিতিতে ঘরদোর খিল এঁটে গৃহকোণে আশ্রয় নিয়েছে নগরবাসী। বাচ্চাদের স্কুল ছুটি, স্কুলও পানিতে সয়লাব। রাস্তাঘাটে সেই যানজট নেই। মানুষজনের চলাচলও সীমিত। অফিস-আদালতেও হাজিরা কম।
অবাক ব্যাপার। মানুষ কেমন যেন ঝিম মেরে আছে। কোন প্রতিবাদ নেই, উচ্চবাচ্য করছে না কেউ। চরম অসুবিধা হলেও সহ্য করে যাচ্ছে। অসুবিধা তো হচ্ছেই সবার। একনাগাড়ে বহুবছর এমন বৃষ্টিপাত হয়নি। প্রতিবাদ বৃষ্টির জন্য নয়। কারণ বৃষ্টির ওপর তো মানুষের হাত নেই। প্রকৃতির খেয়ালে বৃষ্টি হচ্ছে। প্রতিবাদ-বিক্ষোভের কথা উঠছে বৃষ্টির পানি জমে জলজট সৃষ্টি হওয়ার কারণে। শহরতলী এবং নিচু এলাকার হাজার হাজার বাড়িঘরে পানি উঠেছে। ঘরের মেঝেতে পানি জমে থাকায় পরিবারের সবাই খাটের ওপর উঠে গাদাগাদি করে বসে আছে। শোয়া যাচ্ছে না, তাই ঘুমও নেই। চুলা জ্বালানো যাচ্ছে না, উপোস করে আছে বহু পরিবার। দূরের হোটেল থেকে খাবার কিনে নিয়ে ক্ষুধা নিবারণ করছে কেউ কেউ।
আজকে যদি এসএম জামালউদ্দিন বেঁচে থাকতেন, তাহলে সভা-মিছিল, হরতাল-ধর্মঘট, অবরোধের ডাক দিয়ে তুলকালাম করে ফেলতেন। তাঁর বৃহত্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন গণসংগ্রাম কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার আহমদ (বর্তমানে ব্যারিস্টার) আছেন। কিন্তু তিনি দীর্ঘদিন থেকে লন্ডন প্রবাসী। ফলে নাগরিক সমস্যা নিয়ে কথা বলার লোক কোন এখন নেই। যে চট্টগ্রামের নামের সঙ্গে রক্ত, আগুন, বিপ্লবের কত স্মৃতি জড়িয়ে আছে, সেই চট্টগ্রামের মানুষ এখন কেমন যেন নির্বিষ, নির্বীর্য। কবি ঈশ্বরগুপ্ত কথিত ‘পোষাগরু’। গুপ্তকবি “মহারাণী ভিক্টোরিয়া, বাংলা-ভারত তখন যাঁর সাম্রাজ্যভুক্ত এক রাজ্য, তাঁর প্রজা ভারতবাসীর পক্ষ থেকে ব্যঙ্গ করে বাণীকে উদ্দেশ্য করে গুপ্তকবি লিখেছিলেন—
‘‘তুমি মা কল্পতরু আমরা সব পোষা গরু
শিখিনি শিং বাঁকানো
কেবল খাবো খোল বিচিলি ঘাষ \…
আমরা ভুসি পেলেই খুশি হব
ঘুষি খেলে বাঁচব না।’’

আশির দশকে চট্টগ্রামের প্রধান খাল চাক্তাই খাল ভরে গিয়ে জোয়ারের সময় খালের দু’পাশের লোকালয়ে পানি উঠতো, বর্ষাকালে পানি জমে বন্যা হয়ে যেত। তখন চট্টগ্রামবাসীর জীবনে সীমাহীন দুর্দশা নেমে এসেছিলো। এই অবস্থা দেখে রাজনীতিবিদ, শ্রমিক নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম জামালউদ্দিনের প্রাণ কেঁদে উঠেছিলো। তিনি উল্লেখিত উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটি গঠন করে বৃহত্তর চট্টগ্রামে এমন প্রবল আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন যে, চট্টগ্রাম কেঁপে উঠেছিলো, এমন হৈ চৈ পড়ে গিয়েছিলো যে, নগর প্রশাসন এবং সরকারও ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছিলো। কক্সবাজার থেকে সন্দ্বীপ পর্যন্ত অবস্থান ধর্মঘট, অনশন, অবরোধ কর্মসূচি দিয়ে তিনি চট্টগ্রামাবাসীকে অধিকার সচেতন ও জাগিয়ে তুলেছিলেন। চট্টগ্রামের ব্যাপক মানুষ সংগ্রাম কমিটির ডাকে সাড়া দিয়েছিলেন। জামাল ভাই’র ডাকে সেসময় তাঁর সংগঠনের পতাকাতলে জড়ো হয়েছিলো রাজনীতিবিদ, আইনজীবী, সাংবাদিক, প্রকৌশলী, লেখক, বুদ্ধিজীবী সহ সর্বস্তরের নাগরিকবৃন্দ। এতদিন পরে তাঁদের সবার নাম আমার মনে নেই, যাঁদের কথা মনে পড়ছে তাঁরা হলেন, জামাল ভাই, মনোয়ার ছাড়াও নুরুল আমিন, অধ্যক্ষ রওশন আক্তার হানিফ, অধ্যাপক সালমা চৌধুরী, কামাল আজিজুল হক, অ্যাডভোকেট শফিউল আলম, অ্যাডভোকেট রাণা দাশগুপ্ত, কালাম চৌধুরী, অ্যাডভোকেট একে এম এমদাদুল ইসলাম, কফিলউদ্দিন, এসকে হুদা, শাহরিয়ার খালেদ, ওসমান গণি, কামালউদ্দিন, অধ্যাপক মমতাজউদ্দিন চৌধুরী, মোহাম্মদউল্লাহ, মুজিবুল হক শুক্কুর, আবদুল হালিম দোভাষ, ইঞ্জিনিয়ার ইব্রাহিক, লায়লা ইব্রাহিম বানু, অধ্যাপক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর প্রমুখ।
সেদিন পত্রিকায় দেখলাম সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী জলাবদ্ধতার জন্য সিডিএকে দায়ী করেছেন। মেয়রের কথা শুনে আমার শিল্পী পান্নালাল ভট্টাচার্যের গাওয়া একটি শ্যামা সঙ্গীত মনে পড়ে গেল। শিল্পীর গানের প্রথম দু’কলি—
দোষ কারো নয় গো মা
আমি স্বখাত সলিলে ডুবে মরি শ্যামা”
মাননীয় মেয়র মহোদয়, চসিক, সিডিএ নয়। মনে হয় আমরাই দায়ী। কারণ আমাদের দুর্ভাগ্য আমরা এই নগরে বসবাস করি।
নগরে জলাবদ্ধতার জন্য চসিক এবং সিডিএ’র পরস্পরকে দোষারোপ সে এক পুরোনো কাজিয়া। সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, জলাবদ্ধতা কেন নিরসন হচ্ছে না, এটি ভালো বলতে পারবে সিডিএ। সিডিএ খালগুলো থেকে দৃশ্যত বাঁধ অপসারণ করলেও এখনো মাটি রয়ে গেছে। তাতে পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তারা জলকপাটগুলোর কাজও শেষ করতে পারেনি।
তবে সিটি করপোরেশনের দাবি মানতে রাজি নন জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বে নিয়োজিত সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের লেফটেন্যান্ট কর্নেল ও প্রকল্প পরিচালক মো. শাহ আলী। তিনি বলেন, তাঁরা খাল থেকে সব বাঁধ সরিয়ে নিয়েছেন; বরং সিটি করপোরেশন অনেক জায়গায় নালা-নর্দমা ও খালে বাঁধ দিয়ে কাজ করছে। আর জোয়ারজনিত জলাবদ্ধতা নিরসনের বিষয়টি তাঁদের হাতে নেই। এ ব্যাপারে সিডিএ আরেকটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন, সিটি করপোরেশন ঠিকমতো নালা-নর্দমাগুলো পরিষ্কার করছে না। নতুন খালটি খনন করতে পারেনি। এ কারণে নগরের ড্রেনেজ ব্যবস্থা অকার্যকর হয়ে পড়েছে। ফলে জলাবদ্ধতা বেশি হচ্ছে। তবে সব প্রকল্পের কাজ শেষ হলে মানুষ সুফল পাবে।
জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য সিটি করপোরেশনের একটি, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) দুটি ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি প্রকল্পের আওতায় ১১ হাজার ৩৪৪ কোটি টাকার কাজ চলছে। গত ছয় বছরে ৫ হাজার ৭৯০ কোটি টাকা ব্যয়ের পরেও সুফল পাচ্ছেন না নগরবাসী। আগামী বছরের জুনে এসব প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না। মেয়াদ আরও বাড়ানো হবে বলে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন।
নগর প্রশাসনের মস্তকোপরি বসে আছে চসিক; এটি নগরের অভিভাবক সংস্থা। সুতরাং নগরের সমস্ত সমস্যার জন্য চসিকই প্রধানত দায়ী। কিন্তু নগরের উন্নয়নের সাথে জড়িত সমস্ত সংস্থার একই ছাড়া বা চসিক—এর নিচে এনে চসিককে সমন্বয় ও তদারকির দায়িত্ব দেয়া হয়নি। এটি বিদ্যমান স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার বড় গলদ। ফলে সিডিএ, ওয়াসা, গৃহায়ন ও গণপূর্ত, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ, বিদ্যুৎ, গ্যাস, সড়ক ও জনপথ, টিঅ্যান্ডটি ইত্যাদি সংস্থাগুলির মাধ্যমে যেসব উন্নয়ন কাজ করা হয়, চসিককে তাদের কাজের সমন্বয় এবং তদারকির দায়িত্ব দেয়া হয়নি। এই জন্য চসিক এর নেতৃত্বে একটি নগর সরকার গঠনের কথা উঠেছিলো।
অন্যদিকে নগরের পরিকল্পিত উন্নয়নের জন্য দায়িত্ব প্রদান করে সিডিএ বা চউক গঠন করা হয়। ৬২ সালে প্রণীত ২০ বছর মেয়াদী একটি মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেয়া হয়ে সিডিএ-কে। মেয়াদ ফুরিয়ে গেলে মাস্টার প্ল্যান রিভাইজ করে নতুন করে সিডিএ’র ওপর দায়িত্ব অর্পিত হয়। নতুন একটি মাস্টার প্ল্যানও বোধ হয় বাস্তবায়নাধীন আছে সিডিএ’র।
জনাব আবদুচ ছালাম টানা পাঁচ বা ছয় দফা সিডি’এর চেয়ারম্যান থাকাকালে নগরে বেশ ক’টি ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হয় এবং এই ফ্লাইওভার নিয়েই মূলত সিডিএ’র সমালোচনা করা হয়। প্রকৌশলী, স্থপতিরা ফ্লাইওভার নির্মাণের বিরোধিতা করেছিলেন কিন্তু সিডিএ কর্তৃপক্ষ তাতে কর্ণপাত করেননি। এখন যে জলাবদ্ধতা হচ্ছে, সেজন্য খানিকটা ফ্লাইভারকেই দায়ী করা হচ্ছে।
যাই হোক, জলাবদ্ধতার জন্য কে দায়ী— সিডিএ না চসিক-আমরা এখানে সেটি বিচার করতে বসিনি, আমরা এককভাবে কোন সংস্থাকে দায়ী করতে চাই না। তাছাড়া এখন যিনি সিডিএ’র চেয়ারম্যান পদে অধিষ্ঠিত আছেন, জহিরুল আলম দোভাষ, তিনি এই নগরের আদি ধনী ও সম্ভ্রান্ত বংশীয় একটি পরিবারের সন্তান। একজন ভদ্র, সজ্জন, বিনয়ী ও চূড়ান্ত অর্থে সৎ একজন মানুষ। তাঁর প্রপিতামহ খান বাহাদুর আবদুল হক দোভাষ তাঁর সময়ে চট্টগ্রাম শহরের অত্যন্ত মান্য ব্যক্তিত্ব ও শহরের অভিভাবক ছিলেন। গণমানুষের অপকার তাঁরা করতে জানেন না, উপকার করাই তাঁদের স্বভাবধর্ম। সুতরাং জলজটে নগরবাসীদের কষ্ট হবে, তেমন কোন কাজ তাঁর দ্বারা হবে না।
আমার কথা হচ্ছে নগর প্রশাসন, উন্নয়ন, যোগাযোগ অবকাঠমো, নগরবাসীকে বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ইত্যাদি সুবিধা প্রদানের দায়িত্বে নিয়োজিত সকল সংস্থা কোন না কোনভাবে জলাবদ্ধতার জন্য দায়ী। এ আমার পাপ তোমার পাপ। আমরা অনেকদিন ধরে অপরিণামদর্শী হঠকারী কাজ করে আসছি, তারই পুঞ্জীভূত ফল জলাবদ্ধতা। আমরা পলিথিন ফেলে, আবর্জনা ফেলে খাল, নালা ভরাট করে ফেলেছি, যার ফলে পানি চলাচলের পথ রুদ্ধ হয়ে গেছে। বিল্ডিং কোড না মেনে যত্রতত্র বাড়িঘর তৈরি করে একদার শান্ত, নিরিবিলি শহরটাকে ঘিঞ্জি শহরে পরিণত করা হয়েছে। বাড়িঘর তৈরির জন্য আনা ইট, কাঠ, সিমেন্ট, বালি জমে জমেও পানি চলাচলের রাস্তা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন সময়ে চসিকের কুরসিতে যারা ছিলেন, তাঁরা খাল-নালা পরিষ্কার করেননি, নিচু এলাকা, অলি-গলির লেবেল উঁচু করেননি। ফলে এখন রাজপথে তেমন পানি না জমলেও অলি গলিতে জল জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। এখানে জনাব ছালামের ফ্লাইওভারের কিছু দায় আছে।
মাননীয় মেয়র, সিডিএ’র ওপর দোষ চাপিয়ে আপনার পার পাওয়ার কোন উপায় দেখছি না। আমরা আর কতকাল জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ পোহাবো? নগরে বাস করাটাই কি আমাদের অপরাধ? সেকালে ভদ্রলোকেরা নাকি শহরে থাকাটা অসম্মানের কাজ মনে করতেন। সেজন্য তাঁরা গ্রামেই তাঁদের ভদ্রাসন বাটী তৈরি করতেন। তাহলে এই একুশ শতকের দ্বিতীয় শতকে আমাদের কী ভাবতে হবে— চলো চলো শহর ছেড়ে দূরে কোথাও গ্রাম অথবা পাহাড়-পর্বতে, হেথা নয় অন্যখানে, অন্য কোনখানে?

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

সুলতান কুসুমপুরী ও তাঁর কোম্পানি কমান্ডার হাবিলদার আবু’র মুক্তিযুদ্ধ

মুক্তিযুদ্ধে আওয়ামী লীগের ১৩জন এমপি সম্মুখ যুদ্ধের ট্রেনিং নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তারা সেনা কর্মকর্তাদের ন্যায় মুক্তিযুদ্ধে তাদের গ্রæপকে কমান্ড করেন। এই ১৩ জন এমপি

বিস্তারিত »
প্রদ্যোৎ কুমার পাল

৭১-এর দুরন্ত গেরিলা প্রদ্যোৎ কুমার পাল

প্রদ্যোৎ কুমার একজন অসম সাহসী বীরের নাম। মুক্তিযুদ্ধে এই দুর্ধর্ষ মুক্তিযোদ্ধা দক্ষিণ চট্টগ্রামের রণাঙ্গণ মাতিয়ে রেখেছিলেন তাঁর অসীম সাহস ও পরাক্রম দিয়ে। দক্ষিণ চট্টগ্রামের চারটি

বিস্তারিত »

দক্ষিণ চট্টগ্রামে মুক্তিযুদ্ধের ক্যান্টনমেন্ট বরকল, শাহজাহান ইসলামাবাদী জিওসি

মুক্তিযুদ্ধের এক কিংবদন্তী শাহজাহান ইসলামাবাদী। দক্ষিণ চট্টগ্রামে মুক্তিযুদ্ধের তিনিই ছিলেন প্রধান নায়ক। কিংবা এভাবেও বলা যায়, তাঁকে কেন্দ্র করেই দক্ষিণ চট্টগ্রামে মুক্তিযুদ্ধ গড়ে উঠেছিল। তাঁর

বিস্তারিত »

স্বাধীনতা ও সমাজতন্ত্রের সংগ্রামের অগ্রসৈনিক মিরসরাইর অহিদুল হক

অহিদুল হক মুক্তিযুদ্ধে যে অসাধারণ বীরত্ব, অসীম সাহস ও শৌর্যবীর্যের পরিচয় দেন, তা মিরসরাই থানার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি মুক্তিযুদ্ধের পূর্বে জাতীয় মুক্তির

বিস্তারিত »
বাংলাদেশে পিএইচপির উদ্যোগে মালয়েশিয়ার বিশ্ববিখ্যাত প্রোটন ব্রান্ডের গাড়ি তৈরির কারখানা উদ্বোধনের পর মোনাজাত করছেন আধুনিক মালয়েশিয়ার প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ড. মাহাথির মোহাম্মদ এবং পিএইচপির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান সুফি শিল্পপতি মিজানুর রহমান ।

দার্শনিক শিল্পপতি সুফি মিজানুর রহমান পুরুষোত্তম

বাংলাদেশে পিএইচপির উদ্যোগে মালয়েশিয়ার বিশ্ববিখ্যাত প্রোটন ব্রান্ডের গাড়ি তৈরির কারখানা উদ্বোধনের পর মোনাজাত করছেন আধুনিক মালয়েশিয়ার প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ড. মাহাথির মোহাম্মদ এবং পিএইচপির

বিস্তারিত »

মুক্তিযুদ্ধে দোহাজারীর বীর চতুষ্টয় : খসরু-জাফর-রতন-কামাল

চট্টগ্রামের সভ্যতা মানুষ ও নদীর যুগ্ম-সৃষ্টি। ঐতিহাসিক কাল থেকে চট্টগ্রামে তিনটি বড় নদী পরিদৃষ্ট হয়। সর্ববৃহৎ কর্ণফুলী, অনতিবৃহৎ হালদা ও শঙ্খ নদী। কর্ণফুলী সদর ও

বিস্তারিত »

ষাটের_দশকের_ছাত্রনেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী সিরাজুল আলম

কাজী সিরাজুল আলম ষাটের দশকের শেষদিকে চট্টগ্রামের একজন বিশিষ্ট ছাত্রনেতা ছিলেন। ৬৯-৭০-এ তিনি ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেন। তাঁর বাড়ি সীতাকুÐে; তিনি সীতাকুÐে ৬৯-এর

বিস্তারিত »

মুক্তিযুদ্ধে_চিকিৎসকদের অবদান ও ডা.শৈবাল কান্তি দাশ

মুক্তিযুদ্ধে চিকিৎসকদের ভ‚মিকা নিরূপণের চেষ্টা করা হয়নি। তবে তাঁরা না হলে মুক্তিযোদ্ধারা, বিশেষ করে গেরিলা যোদ্ধাদের পক্ষে যুদ্ধে সফল হওয়া মুস্কিল ছিল। ইনফ্যান্ট্রি, আর্টিলারি, ক্যাভালরি

বিস্তারিত »

মুক্তিযুদ্ধে এ কে খানের ভাই এম আর খান ও তাঁর তিন পুত্রের অন্তর্ধান দিবস

সে এক ঘোর অমানিশার অন্ধকার নেমে এসেছিলো এই বাংলায়। সেই ঘন তমসা ভেদ করে স্বাধীনতার সূর্যোদয়ের প্রতীক্ষার প্রহর গুণে গুণে কত দুঃখিনি মায়ের প্রাণবায়ু বেরিয়ে

বিস্তারিত »