বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশ ভারতের লোকসভা নির্বাচনে এখন পর্যন্ত ২৯২টি আসনের চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৪৪টিতে জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন দল বিজেপি। ৫৮টি আসনে জয় পেয়েছে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস।
অন্য দলগুলোর মধ্যে সমাজবাদী পার্টি (এসপি) ২৩টি, তৃণমূল কংগ্রেস ১৩টি, দ্রাবিড় মুনেত্র কড়গম (ডিএমকে) পাঁচটি, জনতা দল (জেডি-এস) চারটি, তেলেগু দেশাম (টিডিপি) তিনটি, শিবসেনা (উদ্ধব ঠাকরে) তিনটি, কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া- সিপিআই (এম) তিনটি, আম আদমি পার্টি তিনটি, জনতা দল (সেকুলার) দুটি, শিবসেনা (এসএসএইচ) দুটি, জন্মু-কাশ্মীর ন্যাশনাল কনফারেন্স দুটি আসনে জয় পেয়েছে।
ভারতের নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ওয়েবসাইটের তথ্য বলছে, বিজেপি ৯৬ আসনে এগিয়ে রয়েছে। কংগ্রেস এগিয়ে রয়েছে ৪১ আসনে। সমাজবাদী পার্টি (এসপি) ১৪ আসনে এগিয়ে রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেস এগিয়ে রয়েছে ১৫ আসনে।
এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত ফলাফলে এটা নিশ্চিত যে, বিজেপি এককভাবে ক্ষমতায় আসতে পারছে না। লোকসভার মোট ৫৪৩ আসনের মধ্যে সরকার গড়তে প্রয়োজন ২৭২ আসন। বিজেপি যেসব আসনে এগিয়ে রয়েছে, সেগুলোতে জয় ধরলেও আসনসংখ্যা দাঁড়ায় ২৩৯।
গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি এককভাবে ৩০৩ আসনে জয় পেয়েছিল। সেবার বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএ ৩৫২ আসনে জয় পায়। তবে ধারণা করা হচ্ছে এবারের নির্বাচনে বিজেপি জিতলেও একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না। সেক্ষেত্রে এনডিএ জোট শরিকদের ওপর নির্ভর করতে হবে বিজেপিকে। এনডিএ জোটের শরিকদের প্রধান অন্ধ্র প্রদেশে চন্দ্রবাবু নাইডুর তেলেগু দেশম এবং বিহারে মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের জনতা দল-ইউনাইটেড (জেডি–ইউ)।
এই দুই দল ছাড়া আরও একাধিক এনডিএ শরিকের ওপরে নির্ভর করতে হবে বিজেপিকে। এদের মধ্যে রয়েছে মহারাষ্ট্রের শিবসেনার সিন্ধে গোষ্ঠী, বিহারে লোক জনশক্তি পার্টি এবং উত্তর প্রদেশের রাষ্ট্রীয় লোক দল।
গত নির্বাচনে কংগ্রেস এককভাবে পেয়েছিল ৫২টি আসন। আর কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন তৎকালীন ইউপিএ জোট পেয়েছিল ৯৪ আসন।